অনলাইন ডেস্ক :
করোনায় শনাক্ত ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। আজ শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) মহাখালী থেকে নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান তিনি।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৮৩৮ জনের মধ্যে বয়স বিভাজনের পরিসংখ্যন থেকে দেখা যায়, সর্বোচ্চ আক্রান্ত সংক্রমিত ব্যক্তির বয়স সীমা ২১-৫০ বছর। এই বয়সীরাই সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। যা মোট আক্রান্তের ২১ শতাংশ। এরপর ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৯ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৫ শতাংশ।
আরো পড়ুন: ভিজিএফের চাল পাবেন ৩ লাখের বেশি জেলে
তিনি বলেন, এলাকাভিত্তিক হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা শহরে ৪৬ শতাংশ, নারায়ণগঞ্জ ২০ শতাংশ ও এরপর যথাক্রমে গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও মুন্সিগঞ্জসহ অন্যান্য জেলা রয়েছে। ঢাকায় সংক্রমণের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মিরপুরে সবচেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, শতকরা ১১ ভাগ। এরপর মোহাম্মদপুর, ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ী চার ভাগ, উত্তরা তিন ভাগ ও ধানমন্ডি ২ ভাগ।
মোট আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ পুরুষ, ৩২ শতাংশ নারী। ফ্লোরা বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ রোগী বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ৩২ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেকের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। সামাজিক চাপসহ বিভিন্ন কারণে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। মৃদু বা অল্প লক্ষণ থাকলে তাদের হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই। তারা বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিতে পারেন।
এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। মৃদু বা অল্প লক্ষণ দেখা দেওয়া রোগীদের হাসপাতালে পাঠালে হাসপাতালের চাপ বাড়ে। এতে যাদের জন্য হাপাতালের প্রয়োজন তারা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। সবার প্রতি অনুরোধ, সবাই বাড়িতে থাকবেন। আর রোগের লক্ষণ দেখা দিলে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিবেন।