৯০ বছর পর সবচেয়ে বড় সংকটের দ্বারপ্রান্তে বৈশ্বিক অর্থনীতি’

  • আপডেট: ১০:৩৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০
  • ০ Views

অর্থনীতি ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের কারণে দেশে দেশে লকডাউন চলছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে অর্থনীতির চাকা। ফলে ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর এবারই প্রথম বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

আইএমএফ জানিয়েছে, চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনীতির ৩ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে আশঙ্কা করছে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ)।

আইএমএফ মঙ্গলবার জানিয়েছে, ২০২০ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে, ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হারে ২০২১ সালে অর্থনীতির আংশিক পুনরুত্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এ সম্ভাবনার কথা একেবারে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। মহামারী কতদিন স্থায়ী হবে তার ওপর নির্ভর করবে ফল কতটা খারাপ হবে।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ এক বিবৃতিতে বলেন, দুই বছরে বিশ্বে সামগ্রিকভাবে ৯ মিলিয়ন ডলারের উৎপাদন কমবে, যা জার্মানি ও জাপানের সম্মিলিত জিডিপির চেয়ে বেশি।

আইএমএফের ধারণা, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে অধিকাংশ দেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবে এবং বছরের শেষার্ধে এর প্রকোপ কমে যাবে। তখন আবার ধীরে ধীরে ব্যবসাবাণিজ্য শুরু হবে।

মহামারীটি যদি জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়, তা হলে অর্থনীতি আরও ৩ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। দেউলিয়াত্ব ও দীর্ঘমেয়াদি বেকারত্বের ভয়াবহ প্রভাবের কারণে ২০২১ সালে এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

নেতানিয়াহু সেনাদের গাজায় যুদ্ধাপরাধ করতে পাঠাচ্ছেন: ইসরাইলের সাবেক সেনাপ্রধান

৯০ বছর পর সবচেয়ে বড় সংকটের দ্বারপ্রান্তে বৈশ্বিক অর্থনীতি’

আপডেট: ১০:৩৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০

অর্থনীতি ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের কারণে দেশে দেশে লকডাউন চলছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে অর্থনীতির চাকা। ফলে ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর এবারই প্রথম বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

আইএমএফ জানিয়েছে, চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনীতির ৩ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে আশঙ্কা করছে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ)।

আইএমএফ মঙ্গলবার জানিয়েছে, ২০২০ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে, ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হারে ২০২১ সালে অর্থনীতির আংশিক পুনরুত্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এ সম্ভাবনার কথা একেবারে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। মহামারী কতদিন স্থায়ী হবে তার ওপর নির্ভর করবে ফল কতটা খারাপ হবে।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ এক বিবৃতিতে বলেন, দুই বছরে বিশ্বে সামগ্রিকভাবে ৯ মিলিয়ন ডলারের উৎপাদন কমবে, যা জার্মানি ও জাপানের সম্মিলিত জিডিপির চেয়ে বেশি।

আইএমএফের ধারণা, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে অধিকাংশ দেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবে এবং বছরের শেষার্ধে এর প্রকোপ কমে যাবে। তখন আবার ধীরে ধীরে ব্যবসাবাণিজ্য শুরু হবে।

মহামারীটি যদি জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়, তা হলে অর্থনীতি আরও ৩ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। দেউলিয়াত্ব ও দীর্ঘমেয়াদি বেকারত্বের ভয়াবহ প্রভাবের কারণে ২০২১ সালে এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে।