অনলাইন ডেস্ক:
করোনাভাইরাস সংক্রমণে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি দেশটিতে এক দিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা। এ নিয়ে ভারতে ৩৩৯ জনের মৃত্যু হল।
এদিকে মৃত্যুর সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও।দেশটিতে মোট ১০ হাজার ৩৬৩ জনের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে।
অন্যদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে না আসায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত সরকার। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লকডাউন ১২ দিন বাড়ানোর ঘোষণা দেন। এর ফলে আগামী ৩ মে পর্যান্ত লকডাউনে থাকবে দেশটি।
আগের ঘোষণা অনুযায়ী আজই শেষ হওয়ার কথা ছিল ২১ দিনের লকডাউনের মেয়াদ। করোনায় আক্রান্ত ও প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ায় গত শনিবার মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে দেশটির অধিকাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন বৃদ্ধির দাবি জানান। পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৯ টি রাজ্য ইতিমধ্যে লকডাউনের মেয়াদ ১৫দিন বাড়িয়েও দিয়েছে।
পরিপ্রেক্ষিতে আজ ফের জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।তিনি ৩ মে পর্যিন্ত সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।
ভারতে রোজই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে সবচেয়ে উদ্বেগজনক ছবি ধরা পড়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং তামিলনাড়ুতে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল আগেই। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২ হাজারের সামান্য কম। এবার সংক্রমণের সংখ্যা হাজার ছুঁয়েছে তামিলনাড়ুতেও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য ানুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯০।
মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ইতিমধ্যেই ১ হাজার ৯৮৫ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে ওই রাজ্যে। এর পরেই রয়েছে দিল্লি। সেখানে সংক্রমিত ১ হাজার ১৫৪ জন। তামিলনাড়ুতে করোনা ধরা পড়েছে ১ হাজার ৪৩ জনের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী করোনা আক্রান্ত ৮৫৬ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ভারতে।
সূত্র: এনডিটিভি।