কচুয়া প্রতিনিধি:
কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের শাসনখোলা গ্রামে ইউপি সদস্য আবুল হোসেনের হাতে কলেজ ছাত্রী লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার ফসলি জমির ফসল নষ্ট করার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্যের হাতে কলেজ ছাত্রী শাহিনুর আক্তার লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে শাহিনুর আক্তার বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে শাহিনুর আক্তার জানায়-বিবাদী আবুল হোসেন মেম্বার ও আমরা একই বাড়ির। আবুল হোসেন মেম্বার (৬৫), তার ছেলে রিয়াদ (২৫), মোঃ জামিল(২০), লিলুফা বেগম (৫৫) ও উর্মি বেগম (২২) অত্যাচারী জুলুমবাজ প্রকৃতির মানুষ। তারা গায়ের জোরে এলাকায় প্রতিনিয়ত ঝগড়া বিবাধে লিপ্ত হয়। গত সপ্তাহে বিবাদী মেম্বার ও তার ছেলে রিয়াদ আমাদের সাথে গ্রামের লোকজনের ঝগড়ায় লিপ্ত করায়। ঝগড়ার সুত্র ধরে মেম্বার ও তার সমর্থনকৃত গ্রামের লোকজন আমাদের ফসলি জমির ফসল নষ্ট করে ফেলে। আমি জমির ফসল নষ্ট হওয়ার বিষয়ে মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে মেম্বার ও তার ছেলে রিয়াদ আমার এবং আমার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে গত ৮ তারিখ বুধবার বিকেলে তারা আমাদের বাড়িতে এসে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। মেম্বার ও তার দলবল সহ আমার চুলে ধরে আমাকে এলোপাতারি কিল, ঘুষি, লাথি মারে এবং মেম্বারের ছেলে রিয়াদ আমাকে কামর দিয়ে জঘম করে। আমাকে রক্ষা করতে আমার বড় বোন শান্তি আক্তার আসলে মেম্বার ও তার দলবল তাকেও মারধর করে। সাথে সাথে রিয়াদের স্ত্রী উর্মী আক্তার আমাদের বসত ঘর ভাংচুর করে। ঝগড়ায় এক পর্যায়ে আশেপাশের লোকজন এসে মেম্বার, রিয়াদ সহ তাদের দলবলের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করায়।
এছাড়াও বিবাদী মেম্বার ও তার ছেলে প্রতিনিয়ত আমার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে বিবাদী ইউপি সদস্য আবুল হোসেনের কাছে মুঠো ফোনে জানতে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার ছেলের বউ ঊর্মী আক্তার সাথে শাহিনুর আক্তার সাথে ঝগড়া লাগলে আমি ও আমার ছেলে রিয়াদ হোসেন গিয়ে ঝগড়া সমাধান করে দেই। কোনো মারামারি হয়নি, অভিযোগ ভিক্তিহীন বলে দাবী করেন তিনি।
হামলার এ ঘটনা সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবী করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার লোকজন। এদিয়ে ইউপি সদস্য মো.আবুল হোসেন বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর একাধিক ভাবে অভিযোগ রয়েছে।