• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ১১ এপ্রিল, ২০২০

এরই নাম মা

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

অনলাইন ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে কার্যত গোটা বিশ্বে লকডাউন চলছে। প্রতিবেশী ভারতেও পড়েছে এর প্রভাব। দেশটিতে চলছে ২১ দিনের লকডাউন।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজনের ঘরের বাইরে যাওয়ায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তাই বলে সন্তান ‘বিপদে’ আছে জেনে মা-তো চুপচাপ বসে থাকতে পারেন না।  তাইতো তিন দিন স্কুটি চালিয়ে ১৪শ’ কিলোমিটার সড়ক-মহাসড়ক পেরিয়ে আরেক রাজ‌্যে আটকে পড়া ছেলেকে উদ্ধার করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের এক মা।

ভারতীয় সংবাদমাধ‌্যমগুলো জানিয়েছে, কারণ জানিয়ে স্থানীয় পুলিশের অনুমতি নিয়ে তেলেঙ্গানা রাজ‌্য থেকে গত সোমবার যাত্রা শুরু করেন মা রাজিয়া বেগম (৪৮)।  উদ্দেশ‌্য পার্শ্ববর্তী রাজ‌্য অন্ধ্রপ্রদেশে আটকে পড়া ছেলেকে বাড়ি নিয়ে আসা।  এজন‌্য তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে এক হাজার চারশ কিলোমিটার পথ।  আর তা সফলভাবে শেষে করে গত বুধবার ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন রাজিয়া।

আরো পড়ুন: কোয়ারেন্টাইনে নার্স! ‘তোমার কাছে যাব’ বলে অঝোর কান্না মেয়ের (ভিডিও ভাইরাল)

এ বিষয়ে রাজিয়া বেগমের বক্তব‌্য, দুইচাকার যান স্কুটি চালিয়ে এতো রাস্তা পাড়ি দেওয়া একজন নারীর পক্ষে ছিল খুবই কঠিন কাজ। তবে ছেলেকে ঘরে আনার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা আমার সব ভয়কে দূরে ঠেলে দিয়েছিল।  যাত্রা পথে আমি এমন সময় পার করেছি যখন দেখেছি রাতের আঁধারে কোথাও কেউ নেই।  চারিদিকে শুধু সুনসান নীরবতা।

জানা যায়, রাজিয়া বেগম হায়দ্রাবাদ থেকে দুইশ’ কিলোমিটার দূরে নিজামাবাদ সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। ১৫ বছর আগে তিনি তার স্বামী হারান। তার দুই সন্তানের একজন প্রকৌশলী গ্রাজুয়েট, অন‌্যজন ১৯ বছর বয়সী নাজিমুদ্দিন। যার কিনা চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন।

আরো পড়ুন:আট জেলায় ৩৭৬ বস্তা সরকারি চাল জব্দ

বন্ধুকে রেখে আসতে গত ১২ মার্চ নাজিমুদ্দিন তেলেঙ্গানার নিলোরের রাহামাতাবাদে যান। কিন্তু এর মধ‌্যে ভারতজুড়ে লকডাউন ঘোষণায় তিনি সেখানে আটকা পড়েন। আর ছোট ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের ভয়ে বড় ছেলেকে পাঠাননি রাজিয়া বেগম। সেখানে কীভাবে পৌঁছানো যায় সে পরিকল্পনায় প্রথমে গাড়ির কথা মাথায় এলেও, পরে তা ঝেরে ফেলে দুই চাকার স্কুটিতেই ভরসা খুঁজে পান।

অবশেষে স্কুটি চালিয়েই ভিন রাজ্যে আটকে পড়া ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে সফল হন দৃঢ় প্রত‌্যয়ী এই নারী।

সূত্র: কলকাতা২৪, নিউজ১৮ বাংলা, হিন্দুস্তান টাইমস

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • আন্তর্জাতিক এর আরও খবর
error: Content is protected !!