অনলাইন ডেস্ক:
সৌদি রাজ পরিবারের অন্তত দেড়শ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাজপরিবারের ঘনিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিয়াদের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন বান্দর বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি এখন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ দুজন সদস্য এই তথ্য জানিয়েছেন।
সৌদি রাজ পরিবারের বেশ কয়েকজন প্রিন্স সম্প্রতি যারা ইউরোপ ভ্রমণ করেছেন তারাও আক্রান্তের তালিকায় আছেন। রাজ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য অসুস্থতাবোধ করছেন।
সৌদি বাদশাহ সালমান রাজপরিবার ছেড়ে জেদ্দায় একটি ভবনে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছেন। ক্রাউন প্রিন্স সালমান এবং মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য রাজপরিবার ছেড়ে দূরবর্তী এলাকায় অবস্থান করছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
দেশটির প্রসিদ্ধ হাসপাতালগুলোর বিখ্যাত সব চিকিৎসক যারা সৌদি রাজ পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তারা ৫০০ বেডের একটি হাসপাতাল তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেখানে রাজপরিবার ও তাদের ঘনিষ্টদের মধ্যে যারা করোনা সন্দেহভাজন তাদের চিকিৎসা দেয়া হবে।
২ মার্চ সৌদিতে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ৬ সপ্তাহে দেশটিতে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। আর ২৭৯৫ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সৌদি সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। সৌদি আরবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ওমরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। হজের বিষয়ে আরও দেরি করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে মুসলমানদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়াহ মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেছেন,সৌদিতে মহামারীর প্রভাব সবে শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে কমপক্ষে ১০ হাজার থেকে দুই লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে।
এদিকে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়ার বরাত দিয়ে সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সৌদিতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা সর্বনিম্ন ১০ হাজার দুই লাখ পর্যন্ত হতে পারে।
সৌদি আরবে প্রতিদিন কয়েক দফায় প্রচুর করোনা রোগী শনাক্ত করা হচ্ছে। বুধবার কয়েক দফায় মোট ৩২৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইতিমধ্যেই কারফিউ জারি করা হয়েছে রিয়াদ, জেদ্দা, মক্কা, মদিনা ও আরও বেশকিছু শহরে।
কারফিউ এবং করোনা প্রতিরোধের নির্দেশ না মানলে অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার।