চাঁদপুর জেলাকে লকডাউনের দাবী উঠছে

  • আপডেট: ০৬:০৭:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল ২০২০
  • ৩১

চাঁদপুর, ৭ এপ্রিল, মঙ্গলবার:

চাঁদপুর জেলার উত্তরে নারায়নগঞ্জ, পূর্বে কুমিল্লা ও পশ্চিমে শরীয়তপুর জেলায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। এছাড়াও ঢাকাসহ দেশের ১৫ জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে মানুষ। ইতোমধ্যে সারাদেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। সারাদেশে এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১৬৪।

সারাদেশের পরিসংখ্যানে দেখাগেছে, চাঁদপুর জেলায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছ। এর মধ্যে ১০জনের রিপোর্ট এসেছে এদের মধ্যে কারো করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়নি।

চাঁদপুর জেলার পাশে কুমিল্লা জেলা, শরীয়তপুর জেলা ও নারায়নগঞ্জ জেলা। এর মধ্যে বেশী আক্রান্ত হয়েছে নারায়নগঞ্জ জেলায়। এই জেলায় আক্রান্ত সংখ্যা ২৩জন। কুমিল্লা ও শরীয়তপুর জেলায় ১জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে চাঁদপুর জেলা এখন অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে। কারন নারায়নগঞ্জ থেকে চাঁদপুর সদরের বালিয়া ইউনিয়নের ৩ ব্যাক্তি পালিয়ে বাড়িতে এসে প্রবেশ করেছেন। যার কারনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আজ থেকে ওই ইউনিয়নে ৩টি বাড়ী লক ডাউন করে দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে পদ্মা-মেঘনা নদীর পশ্চিম পাশেই শরীয়তপুর জেলা। মেঘনার পশ্চিম পাড়ের চরাঞ্চলের লোকদের সাথে উঠা-বসা শরীয়তপুর জেলার লোকদের সাথে। যোগাযোগ হচ্ছে ট্রলার। ট্রলার দিয়ে তারা চাঁদপুরে আসা-যাওয়া করেন।

সারাদেশে করোনা ভাইরাস প্রভাব বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। যার ফলে আজ থেকে চাঁদপুর-শরীয়তপুর এর মধ্যে ট্রলার চলাচল নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ।

জেলা পুলিশের পক্ষে বিকেলে চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাসুদ মাইকিং করে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি মাইকিং করে ব্যবসায়ী ও ট্রলার মাঝি এবং মালিকদের উদ্দেশ্যে সতর্ক করেন।

অপর দিকে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ বুলালে দেখাযায় অনেক লোক বিভিন্ন পথে নারায়গঞ্জ থেকে চাঁদপুর এসে উঠছে। এতে ভয়ানক হয়ে উঠছে চাঁদপুর জেলা্ তাই সচেতন নাগরিকদের দাবী লকডাউন করা হউক চাঁদপুর।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে খাঁটি গরুর দুধ বিক্রর নামে প্রতারণা

চাঁদপুর জেলাকে লকডাউনের দাবী উঠছে

আপডেট: ০৬:০৭:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল ২০২০

চাঁদপুর, ৭ এপ্রিল, মঙ্গলবার:

চাঁদপুর জেলার উত্তরে নারায়নগঞ্জ, পূর্বে কুমিল্লা ও পশ্চিমে শরীয়তপুর জেলায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। এছাড়াও ঢাকাসহ দেশের ১৫ জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে মানুষ। ইতোমধ্যে সারাদেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। সারাদেশে এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১৬৪।

সারাদেশের পরিসংখ্যানে দেখাগেছে, চাঁদপুর জেলায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছ। এর মধ্যে ১০জনের রিপোর্ট এসেছে এদের মধ্যে কারো করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়নি।

চাঁদপুর জেলার পাশে কুমিল্লা জেলা, শরীয়তপুর জেলা ও নারায়নগঞ্জ জেলা। এর মধ্যে বেশী আক্রান্ত হয়েছে নারায়নগঞ্জ জেলায়। এই জেলায় আক্রান্ত সংখ্যা ২৩জন। কুমিল্লা ও শরীয়তপুর জেলায় ১জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে চাঁদপুর জেলা এখন অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে। কারন নারায়নগঞ্জ থেকে চাঁদপুর সদরের বালিয়া ইউনিয়নের ৩ ব্যাক্তি পালিয়ে বাড়িতে এসে প্রবেশ করেছেন। যার কারনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আজ থেকে ওই ইউনিয়নে ৩টি বাড়ী লক ডাউন করে দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে পদ্মা-মেঘনা নদীর পশ্চিম পাশেই শরীয়তপুর জেলা। মেঘনার পশ্চিম পাড়ের চরাঞ্চলের লোকদের সাথে উঠা-বসা শরীয়তপুর জেলার লোকদের সাথে। যোগাযোগ হচ্ছে ট্রলার। ট্রলার দিয়ে তারা চাঁদপুরে আসা-যাওয়া করেন।

সারাদেশে করোনা ভাইরাস প্রভাব বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। যার ফলে আজ থেকে চাঁদপুর-শরীয়তপুর এর মধ্যে ট্রলার চলাচল নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ।

জেলা পুলিশের পক্ষে বিকেলে চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাসুদ মাইকিং করে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি মাইকিং করে ব্যবসায়ী ও ট্রলার মাঝি এবং মালিকদের উদ্দেশ্যে সতর্ক করেন।

অপর দিকে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ বুলালে দেখাযায় অনেক লোক বিভিন্ন পথে নারায়গঞ্জ থেকে চাঁদপুর এসে উঠছে। এতে ভয়ানক হয়ে উঠছে চাঁদপুর জেলা্ তাই সচেতন নাগরিকদের দাবী লকডাউন করা হউক চাঁদপুর।