মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধি:
মতলব দক্ষিণ উপজেলায় পৃথক অগ্নিকান্ডে ৪ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। গতকাল ২৯ মার্চ উপজেলার করবন্দ গ্রামে এবং মতলব ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক কলোনীতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক মিটার ও শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের করবন্দ গ্রামের খলিলুর রহমান তিন ছেলের ঘর আগুনে পুড়ে যায়। দুপুর আনুমানিক ২টায় খলিলুর রহমানরে ছেলে মোস্তফা কামালের বসত ঘরের বৈদ্যুতিক মিটার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তের মধ্যে পাশে থাকা মিজানুর রহমান ও সাপায়েত হোসেনের বসত ঘরেও আগুন ধরে যায়। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্থ মোস্তফা কামাল বলেন, অগ্নিকান্ডে আমাদের তিন ভাইয়ের বসতঘরে থাকা কিছুই রক্ষা করা যায়নি। এতে নগদ অর্থসহ ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
অপরদিকে বিকাল আনুমানিক ৪টায় মতলব সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোশারফ হোসেনের বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে জানা যায়, কলেজ কলোনীর প্রভাষক ইসমাইল হোসেনের ছোট ছেলে সফিক প্রথমে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে ডাক-চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। পরে মতলব দক্ষিণ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের দল খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আধা ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। এদিকে অগ্নিকান্ডের সময় ওই অধ্যাপক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা চাঁদপুরে ছিলেন। সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা মতলবে আসেন।
অধ্যাপক মোশারফ হোসেন জানান, অগ্নিকান্ডে তাঁর বাসায় থাকা কলেজে নিয়োগ সংক্রান্ত জরুরী কাগজ, জমির দলিল, আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে যায়। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে মতলব পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন, অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান। এসময় উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন, মতলব প্রেসক্লাবের সাধঅরণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী ইয়ামিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ মল্লিক, সাংবাদিক আশরাফুল আলম শাওলিন উপস্থিত ছিলেন।
মতলব ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনা স্থলে ছুটে যাই। স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।