উহানে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা শূণ্যে নেমে আসতে পারে মার্চে

  • আপডেট: ০১:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০
  • ৩২

অনলাইন ডেস্ক:

চলতি মাসের শেষ দিকে করোনাভাইরাস বিস্তারের মূলকেন্দ্র উহানে আক্রান্তের সংখ্যা সম্ভবত শূন্যে নেমে আসবে। এই প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনের শীর্ষ স্বাস্থ্য প্যানেলের এক বিশেষজ্ঞ বৃহস্পতিবার এমন আভাস দিয়েছেন।

যদিও শহরটিতে করোনাভাইরাস রোগী বাড়তির দিকেই রয়েছে। বুধবারে চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন করে ‌১৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এতে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আশি হাজার ৪০৯ জনে।

যদিও মঙ্গলবার ১১৯ ও তার আগেরদিন ১২৫ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে। পরপর তিনদিন আক্রান্তের সংখ্যা কমার পরে আবার তা বাড়তে শুরু করেছে।

গত বছরের শেষ দিকে উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকেই প্রথম এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। জাং বলি নামের এই বিশেষজ্ঞ বলেন, গত মাসের শেষে হুবাই প্রদেশের বাইরের সব অঞ্চল এই ভাইরাস রোধ করতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই এই প্রদেশের অন্যান্য শহরও চলতি মাসের শেষে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।

কীভাবে কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে, সেই উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তিনি এমন দাবি করলেও বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। উহানে একদিন আগে যেখানে ১১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন, পরদিন সেখানে তা নতুন করে ১৩১ জনে ছড়িয়েছে।

সমালোচকরা বলছেন, ভাইরাসটির প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিতে প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত থাকলেও পরে কঠিন বিধিনিষেধ আরোপ করে চীন। লোকজনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, বেশ কয়েকটি শহরে অচলাবস্থা জারি করা ছাড়াও নতুন চান্দ্র বছরের ছুটি বাড়িয়ে দেয় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, ভাইরাসটির মহামারী চীন কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে, অন্য দেশগুলো তা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। উহান ছাড়া হুবেই প্রদেশের বাকি শহরগুলোতে ভাইরাসটির সংক্রমণ সংখ্যা এক অঙ্কেই সীমিত রয়েছে গত সাতদিন ধরে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

উহানে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা শূণ্যে নেমে আসতে পারে মার্চে

আপডেট: ০১:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

চলতি মাসের শেষ দিকে করোনাভাইরাস বিস্তারের মূলকেন্দ্র উহানে আক্রান্তের সংখ্যা সম্ভবত শূন্যে নেমে আসবে। এই প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনের শীর্ষ স্বাস্থ্য প্যানেলের এক বিশেষজ্ঞ বৃহস্পতিবার এমন আভাস দিয়েছেন।

যদিও শহরটিতে করোনাভাইরাস রোগী বাড়তির দিকেই রয়েছে। বুধবারে চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন করে ‌১৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এতে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আশি হাজার ৪০৯ জনে।

যদিও মঙ্গলবার ১১৯ ও তার আগেরদিন ১২৫ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে। পরপর তিনদিন আক্রান্তের সংখ্যা কমার পরে আবার তা বাড়তে শুরু করেছে।

গত বছরের শেষ দিকে উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকেই প্রথম এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। জাং বলি নামের এই বিশেষজ্ঞ বলেন, গত মাসের শেষে হুবাই প্রদেশের বাইরের সব অঞ্চল এই ভাইরাস রোধ করতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই এই প্রদেশের অন্যান্য শহরও চলতি মাসের শেষে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।

কীভাবে কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে, সেই উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তিনি এমন দাবি করলেও বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। উহানে একদিন আগে যেখানে ১১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন, পরদিন সেখানে তা নতুন করে ১৩১ জনে ছড়িয়েছে।

সমালোচকরা বলছেন, ভাইরাসটির প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিতে প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত থাকলেও পরে কঠিন বিধিনিষেধ আরোপ করে চীন। লোকজনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, বেশ কয়েকটি শহরে অচলাবস্থা জারি করা ছাড়াও নতুন চান্দ্র বছরের ছুটি বাড়িয়ে দেয় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, ভাইরাসটির মহামারী চীন কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে, অন্য দেশগুলো তা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। উহান ছাড়া হুবেই প্রদেশের বাকি শহরগুলোতে ভাইরাসটির সংক্রমণ সংখ্যা এক অঙ্কেই সীমিত রয়েছে গত সাতদিন ধরে।