ক্রীড়া ডেস্ক:
ইনিংসের সূচনা করতে নেমে লিটন দাসের নান্দনিক এক সেঞ্চুরি (১০৫ বলে ১২৬*), মিডলঅর্ডারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২৮ বলে ৩২) ও মোহাম্মদ মিঠুনের (৪১ বলে ৫০) দায়িত্বশীল ব্যাটিং আর শেষদিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ঝড়ো ক্যামিও (১৫ বলে ২৮)- সবমিলিয়ে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩২১ রান।
যা কিনা ওয়ানডে ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এত ভালো ব্যাটিংয়ের পর দরকার ছিলো বোলারদের জ্বলে ওঠা। এ দায়িত্বেও সফল সাইফউদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামরা। শুরুর স্পেলে আগুন ঝরান সাইফ আর মাঝের ওভারে জিম্বাবুয়ের টুঁটি চেপে ধরেন দুই স্পিনার মিরাজ ও তাইজুল।
ব্যাট হাতে জিম্বাবুয়ের কেউই পারেননি বড় কিছু করতে। মিডলঅর্ডারে অভিষিক্ত ওয়েসলে মাধেভের করেন ৩৫ রান আর শেষদিকে রিচমন্ড মুতুম্বামি ১৭, চার্ল মুম্বা ১৩ ও টিনোটেন্ডা মুতোমবদজি ২৪ রান করলে দেড়শ ছাড়িয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। তারা অলআউট হয় ১৫২ রানে, বাংলাদেশ জয় পায় ১৬৯ রানে।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ শেষে বড় হাসি নিয়েই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আসেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। জানিয়ে যান, তিন বিভাগে পরিকল্পনামাফিক পারফরম্যান্সের কল্যাণে এসেছে সিরিজের প্রথম জয়টি।
মাশরাফি বলেন, ‘এই ফরম্যাটে গত ৩-৪ ম্যাচ ভালো কাটেনি আমাদের। সে সব ম্যাচে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি। তবে আজকের ম্যাচে নিজেদের ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় ছিলাম আমরা। লিটন অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। তার এমন ইনিংসের পর দেখার ছিলো যে, অন্যান্যরা কেমন করে। সে জায়গায় মাহমুদউল্লাহ, মিঠুন ভালো খেলেছে। বিশেষ করে মিঠুনের জন্য ছয় নম্বরে ব্যাটিং করা সহজ ছিলো না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এছাড়া আমাদের দলের দিকে যদি তাকান, তাহলে দেখুন সাইফউদ্দিন মাত্রই ইনজুরি থেকে এলো। আমি নিজেও ৮ মাস পর ওয়ানডে খেলছি। আপনি ৩২২ রান করলেও সেটা কাজে আসে না, যদি না আপনি ভালো জায়গায় বোলিং করেন। ঠিক এই জায়গায় আমরা ভালো করেছি। আজ তিন বিভাগেই দারুণ ছিলাম। আমরা আমাদের ফিল্ডিং নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, আর সে কাজটাই অনুশীলনে চালিয়ে নিচ্ছি।’