• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

সালমান হৃদয়ে ছিলেন, থাকবেন

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে ঢাকাই সিনেমায় হাতেখড়ি হয় সালমান শাহর। স্মার্টনেস-গ্লামার ও পারসোনালিটির কারণে রাতারাতি তরুণ প্রজন্মের আইকনে পরিণত হয়ে ওঠেন এ নায়ক। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি ছবি করেন। যার অধিকাংশই সুপারহিট।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমানের মৃত্যু হয়। সেই থেকে তার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। হত্যা নাকি আত্মহত্যা? প্রায় দুই যুগ পর তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই জানাল, সালমানকে হত্যা করা হয়নি, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। এই প্রতিবেদন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা এই প্রতিবেদন মেনে নিয়েছেন। এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন তার মা নীলা চৌধুরী। চিত্রনায়িকা শাবনূর অভিযোগ করেছেন, তাকে অহেতুক এ ঘটনায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছে।

এ বিষয়ে প্রথমবারের মত কথা বলেছেন চিত্রমৌসুমী। এ নায়িকার সঙ্গে কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবি করার মধ্য দিয়েই চলচ্চিত্রে সালমানের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল।

চিত্রনায়িকা মৌসুমী অবশ্য পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এসব নিয়ে কথা বলে আর লাভ নেই। আমরা তো আর সালমানকে ফিরে পাব না। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। শুধু বলব– সালমান আমাদের হৃদয়ে ছিলেন এবং থাকবেন। আমরা সালমানকে এত দ্রুত হারাতে চাইনি। সে আমার ভালো বন্ধু ছিল। তার অকালে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এতদিন পর এ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে কি কোনো ফল আসবে?

মৌসুমী বলেন, পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে আরেকজন অভিনয়শিল্পীকে নিয়েও অনেক কথা বলা হচ্ছে, সেটি নিয়েও কিছু বলতে চাই না।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর সালমান শাহর সঙ্গে সামিরা হকের বিয়ে হয়। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে সালমান শাহর লাশ উদ্ধার করা হয়।

পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়নি। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তার আত্মহত্যার পেছনে ৫টি কারণ খুঁজে পেয়েছে পিবিআই। সেগুলো হচ্ছে-

১. সালমান শাহ ও চিত্রনায়িকা শাবনূরের অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা;

২. স্ত্রী সামিরার সঙ্গে সালমানের দাম্পত্য কলহ;

৩. সালমান শাহর মাত্রাতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা এবং একাধিকবার আত্মঘাতী হওয়া বা আত্মহত্যার চেষ্টা করা;

৪. মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা এবং জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে পুঞ্জিভূত অভিমানে রূপ নেয়া;

৫. সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনের অপূর্ণতা।

প্রায় ৬০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তুলে ধরে পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, পিবিআই কর্তৃক তদন্তকালে ঘটনার সময় উপস্থিত ও ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৪৪ সাক্ষীর জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি ঘটনা সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করা হয়। এসব বিষয় পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, চিত্রনায়ক সালমান শাহ পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন। হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!