মতলবে জব্দ করা গাছ গোপনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

  • আপডেট: ০৫:১১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২৭

মতলব প্রতিনিধি:

বন বিভাগ অফিস সহায়কের জব্দ করে রেখে আসা গাছ পরবর্তীতে গোপনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মতলব পৌরসভার দক্ষিণ নলুয়া এলাকার মোঃ ছামেদ মালের ছেলে দেলোয়ার হোসেন মালের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে, মতলব পৌরসভার বোয়ালিয়া বাজার থেকে বাপ-পুতের দোকান রাস্তার উপর বন বিভাগের রোপন করা গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় বন বিভাগের মতলব অফিসের সহায়কের কাছে হাতে নাতে ধরা পরে ছামেদ মালের ছেলে দেলোয়ার হোসেন মাল। ওই অফিস সহায়ক কেটে ফেলা গাছটি জব্দ ও পরিমাপ করে সেখানেই রেখে আসে। কিন্তু দেলোয়ার হেসেন মাল গোপনে সুবিধামত সময়-সুযোগে জব্দ করা গাছটি সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। কেটে ফেলা জব্দ করা গাছের কোন চিহ্ন নেই সেখানে। আমরা তার কাছে জব্দ করা গাছের বিষয়ে জানতে চাইলে সে কিছুই জানেন না বলে জানান। বন বিভাগের কর্মকর্তা কামরুজ্জামান আরো বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে যাচ্ছি।

গাছ কাটা ও নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন মাল বলেন, গাছটি আমার লাগানো এছাড়াও বিদ্যুতের তারের নিচে পরার কারনে আমাদের পৌর মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাছটি কেটে নিয়ে যেতে বলেছে। কিন্তু গাছ কাটার পরে বন বিভাগের লোক এসে গাছে বাঁধা দিলে আমি গাছটি রেখে দেই। ওই গাছ কারা নিয়েছে তা আমার জানা নেই।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আহিজল মুন্সি বলেন, বিদ্যুতের তারের নিচ দিয়ে ওই গাছ থাকায় পল্লী বিদ্যুতের লোকজন গাছের ঢালা কেটে দেয়। তাই আমরাই তাকে ওই গাছ কেটে নিয়ে যেতে বলেছি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী’র সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম

মতলবে জব্দ করা গাছ গোপনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

আপডেট: ০৫:১১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০

মতলব প্রতিনিধি:

বন বিভাগ অফিস সহায়কের জব্দ করে রেখে আসা গাছ পরবর্তীতে গোপনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মতলব পৌরসভার দক্ষিণ নলুয়া এলাকার মোঃ ছামেদ মালের ছেলে দেলোয়ার হোসেন মালের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে, মতলব পৌরসভার বোয়ালিয়া বাজার থেকে বাপ-পুতের দোকান রাস্তার উপর বন বিভাগের রোপন করা গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় বন বিভাগের মতলব অফিসের সহায়কের কাছে হাতে নাতে ধরা পরে ছামেদ মালের ছেলে দেলোয়ার হোসেন মাল। ওই অফিস সহায়ক কেটে ফেলা গাছটি জব্দ ও পরিমাপ করে সেখানেই রেখে আসে। কিন্তু দেলোয়ার হেসেন মাল গোপনে সুবিধামত সময়-সুযোগে জব্দ করা গাছটি সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। কেটে ফেলা জব্দ করা গাছের কোন চিহ্ন নেই সেখানে। আমরা তার কাছে জব্দ করা গাছের বিষয়ে জানতে চাইলে সে কিছুই জানেন না বলে জানান। বন বিভাগের কর্মকর্তা কামরুজ্জামান আরো বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে যাচ্ছি।

গাছ কাটা ও নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন মাল বলেন, গাছটি আমার লাগানো এছাড়াও বিদ্যুতের তারের নিচে পরার কারনে আমাদের পৌর মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাছটি কেটে নিয়ে যেতে বলেছে। কিন্তু গাছ কাটার পরে বন বিভাগের লোক এসে গাছে বাঁধা দিলে আমি গাছটি রেখে দেই। ওই গাছ কারা নিয়েছে তা আমার জানা নেই।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আহিজল মুন্সি বলেন, বিদ্যুতের তারের নিচ দিয়ে ওই গাছ থাকায় পল্লী বিদ্যুতের লোকজন গাছের ঢালা কেটে দেয়। তাই আমরাই তাকে ওই গাছ কেটে নিয়ে যেতে বলেছি।