বিশেষ প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জে দলীয় নেতাকর্মীরা বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিয্দ্ধোা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর দায়ের করা একটি মামলায় চাঁদপুরের আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হেলাল উদ্দীন সহ তাদের একদল নেতাকর্মীরা উপর হামার প্রতিবাদে উপজেলা যুবলীগ সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের হল মার্কেটে উপজেলা যুবলীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত উক্ত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান ও তার অনুসারী নেতাকর্মীদের দায়ী করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দীন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য উল্লেখ করেন যে, গত প্রায় ৬-৭ মাস যাবৎ ফরিদগঞ্জের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকার্মীরা চাঁদপুর জেলা সদরে ব্যক্তিগত আইন কানুন সংক্রান্ত যে কোন কাজে গেলে চাঁদপুরের স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী যাদেরকে ফরিদগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যানের পোষা গুন্ডা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এরা বিভিন্ন সময় তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে আসছে।
এ ছাড়াও লিখিত বক্তব্য আরো উল্লেখ করেন যে, উক্ত বিষয়টি চাঁদপুরের জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। আরো বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড জাহিদুল ইসলাম ইসলাম রোমান কোন ধরনের আইন কানুনের প্রতি তোয়াক্কা না করে তার পোষা গুন্ড বাহিনী দিয়ে আওয়ামীলীগ , যুবলীগ ও ছাত্রলীগেরে নেতাকর্মীদেরকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা অব্যাহত রেখেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি তুলেছে। তারা আরো বলেন, সাবেক এম,পি ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার দায়েরকরা ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনের মোট ৪৮ নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার চাঁদপুর আদালতে হাজিরা দিতে গেলে প্রশাসনের উপস্থিতিতে এলোপাতাড়ী ভাবে লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্র সস্্র নিয়ে আমাদেরকে পেটাতে থাকে। এ হামলায় উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হেলাল উদ্দীন সহ ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন উক্ত সংবাদ সম্মেলনে।