হাজীগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

  • আপডেট: ০৫:৪৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯
  • ৮১

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ:
হাজীগঞ্জে মনির হোসেন নামের (৩৫) এক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। গত বুধবার সকালে উপজেলা গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের তারালিয়া নুর মিয়া মুন্সী বাড়ীতে সম্পত্তিগত বিরোধে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মনির ওই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক মানব খবর পত্রিকার সার্কুলেশন ম্যানেজার পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বর্তমানে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় মনির হোসেনের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে নামীয় ৬ জনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে বিবাদী করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিবাদীরা হলেন, ওই বাড়ীর আব্দুল মালেকের ছেলে কামাল হোসেন ও ফরিদ (২৭) এবং মেয়ে শিল্পী আক্তার (১৯), মৃত চাঁদ মিয়ার ছেলে আব্দুল মালেক (৪৫), আব্দুল হাসিম (৪৯), মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে আবুল বাশার (৪৫)সহ অজ্ঞাত কয়েকজন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মনির হোসেনের পরিবারের সাথে বিবাদীদের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। গত ১১ জুন রাতের আধারে মনির হোসেনের পরিবারের মালিকানাধীন ভূমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক ড্রেন (নালা) তৈরি করে বিবাদীরা। ১২ জুন সকালে ঘুম থেকে জেগে ওঠার বিষয়টি দেখতে পেয়ে মনির হোসেন বিবাদীদের ড্রেনের বিষয়টি জানতে চাইলে, তারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিবাদী পরিবারের লোকজন একত্রিত দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মনির ও তার পরিবারের উপর হামলা চালায়।
এ সময় বিবাদীদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয় মনির হোসেন। পরে তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে হালিমা বেগম জানান, বিবাদীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। তারা কথায় কথায় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তিনি বলেন, তাদের উশৃঙ্খল ও মারমুখী আচরনে স্থানীয়রা ভীত অবস্থায় থাকে। গত কয়েকদিন আগেও তারা মারামারি করে গ্রাম্য সালিশী বৈঠকে জরিমানা দিয়েছে। এ দিকে বিবাদী পক্ষের লোকজনকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন , অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

হাজীগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

আপডেট: ০৫:৪৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ:
হাজীগঞ্জে মনির হোসেন নামের (৩৫) এক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। গত বুধবার সকালে উপজেলা গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের তারালিয়া নুর মিয়া মুন্সী বাড়ীতে সম্পত্তিগত বিরোধে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মনির ওই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক মানব খবর পত্রিকার সার্কুলেশন ম্যানেজার পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বর্তমানে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় মনির হোসেনের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে নামীয় ৬ জনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে বিবাদী করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিবাদীরা হলেন, ওই বাড়ীর আব্দুল মালেকের ছেলে কামাল হোসেন ও ফরিদ (২৭) এবং মেয়ে শিল্পী আক্তার (১৯), মৃত চাঁদ মিয়ার ছেলে আব্দুল মালেক (৪৫), আব্দুল হাসিম (৪৯), মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে আবুল বাশার (৪৫)সহ অজ্ঞাত কয়েকজন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মনির হোসেনের পরিবারের সাথে বিবাদীদের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। গত ১১ জুন রাতের আধারে মনির হোসেনের পরিবারের মালিকানাধীন ভূমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক ড্রেন (নালা) তৈরি করে বিবাদীরা। ১২ জুন সকালে ঘুম থেকে জেগে ওঠার বিষয়টি দেখতে পেয়ে মনির হোসেন বিবাদীদের ড্রেনের বিষয়টি জানতে চাইলে, তারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিবাদী পরিবারের লোকজন একত্রিত দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মনির ও তার পরিবারের উপর হামলা চালায়।
এ সময় বিবাদীদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয় মনির হোসেন। পরে তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে হালিমা বেগম জানান, বিবাদীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। তারা কথায় কথায় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তিনি বলেন, তাদের উশৃঙ্খল ও মারমুখী আচরনে স্থানীয়রা ভীত অবস্থায় থাকে। গত কয়েকদিন আগেও তারা মারামারি করে গ্রাম্য সালিশী বৈঠকে জরিমানা দিয়েছে। এ দিকে বিবাদী পক্ষের লোকজনকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন , অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।