৬ স্তরে ভ্যাট আদায়ের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর

  • আপডেট: ০৫:২৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯
  • ৭৬

অনলাইন ডেস্ক:

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ৬ স্তরে ভ্যাট আদায়ের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।

মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ আগামী ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আইনটি কার্যকর করার যে প্রস্তাব করা হয়েছিল তা ব্যবসায়ীদের অনুরোধে দু’বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়।

আইনটি এ বছর বাস্তবায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঐক্যমত হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী নতুন আইনটি সহজ, প্রাঞ্জল ও অধিকতর ব্যবসাবান্ধব করার জন্য মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর কতিপয় সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্তন ও সংযোজনের প্রস্তাব করেন।

তিনি বলেন, ২০১৯-২০ এর বাজেটটিতে দেশের জনগণের নিত্য প্রয়োজনীয় কোনো জিনিসপত্রের দাম বাড়তে পারে তেমন কোনো উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করি নাই।

প্রস্তাবনায় তিনি একক ভ্যাট হারের পরিবর্তে পণ্য বা সেবা আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ, উৎপাদনে ১০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৭.৫ শতাংশ এবং খুচরায় ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেন।

পণ্যের সংবেদনশীলতা বিবেচনায় বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে ঔষধ ও প্রেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের ক্ষেত্রে বর্তমানের ন্যায় স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট হার যথাক্রমে ২.৪ শতাংশ এবং ২ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়।

স্থানীয় পর্যায়ে করভার কমানোর জন্য মূসক হার ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উল্লেখ করেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৬ স্তরে ভ্যাট আদায়ের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর

আপডেট: ০৫:২৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ৬ স্তরে ভ্যাট আদায়ের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।

মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ আগামী ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আইনটি কার্যকর করার যে প্রস্তাব করা হয়েছিল তা ব্যবসায়ীদের অনুরোধে দু’বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়।

আইনটি এ বছর বাস্তবায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঐক্যমত হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী নতুন আইনটি সহজ, প্রাঞ্জল ও অধিকতর ব্যবসাবান্ধব করার জন্য মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর কতিপয় সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্তন ও সংযোজনের প্রস্তাব করেন।

তিনি বলেন, ২০১৯-২০ এর বাজেটটিতে দেশের জনগণের নিত্য প্রয়োজনীয় কোনো জিনিসপত্রের দাম বাড়তে পারে তেমন কোনো উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করি নাই।

প্রস্তাবনায় তিনি একক ভ্যাট হারের পরিবর্তে পণ্য বা সেবা আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ, উৎপাদনে ১০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৭.৫ শতাংশ এবং খুচরায় ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেন।

পণ্যের সংবেদনশীলতা বিবেচনায় বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে ঔষধ ও প্রেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের ক্ষেত্রে বর্তমানের ন্যায় স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট হার যথাক্রমে ২.৪ শতাংশ এবং ২ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়।

স্থানীয় পর্যায়ে করভার কমানোর জন্য মূসক হার ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উল্লেখ করেন।