নিজস্ব প্রতিনিধি॥
চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে শীতের তীব্রতায় ঠান্ডাজনিত রোগ, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপে গত তিন দিনে ৩’শিশুসহ ১১জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্য ৮ জন বয়স্ক নারী-পুরুষ ঠান্ডাজনিত স্ট্রোকে এবং ৩ শিশু মারা যায় বলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর ২৭০ জন ভর্তি হওয়া রোগীর চিকিৎসা চলছে। এইদিন বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে ৮০৯ জন। শিশু ওয়ার্ডে ৫৩ জন শিশু, পুরুষ ওয়ার্ডে ৬৩ জন ভর্তি হয়।
শয্যা-সংকটে শিশুদের মেঝেতে বিছানা পেতে রাখা হচ্ছে। অক্সিজেন-সংকট ও প্রয়োজনের সময় চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সেবা নিতে আসা শিশু রোগীর অভিভাবকেরা।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আসিবুল আহসান আসিব জানান, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক স্ট্রোক রোগীর সংখ্যাই এখন বেশি আসছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরতরা জানান, গত ২১ থেকে ২৩ ডিসেম্বর স্ট্রোকে মারা যান লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর চরবংশী গ্রামের রুহুল আমিন (৫৫), নোয়াখালী কোম্পানিগঞ্জ চরবাতি গ্রামের শ্রুতি বিশ্বাস (৫৬), চাঁদপুর সদর উপজেলা কুমারডুগির শামছুল হক মিজি (৬০), ফরিদগঞ্জ সুবিদপুরের শহিদুল্লা পাটওয়ারি (৭৫), সদরের মহামায়া করবন্দ গ্রামের কুলছুমা (৬৫), শাহতলীর হনুফা বেগম (৯০),লক্ষ্মীপুর জেলার রসুলপুর বাজার এলাকার মনির আহম্মদ (৯৫), চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার পাওয়ার হাউজ এলাকার আলী হোসেন (৭০)।
চাঁদপুর শহরের গুয়াখোলা জনৈক জাহাঙ্গীরে মেয়ে দুধের শিশু তামান্না, সদর আশিকাটি হোসেনপুর ঝন্টু সরকারের ছেলে ৫ দিনের শিশু বাবু, মতলব দঃ উপজেলার নারায়ণপুর মেহেরুন গ্রামের পবনের ১ বছর ৩ মাস বয়সী শিশু আপন।
টানা গত ৪ দিনের শৈত্যপ্রবাহে দেশের বিভিন্নস্থানের ন্যায় চাঁদপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তীব্র শীত পড়ায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সাথে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীও বেড়েছে। অব্যাহত শীতে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক শিশু ও বৃদ্ধ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।