হাজীগঞ্জে সন্তানের নির্যাতন, মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে অসহায় বৃদ্ধা মায়ের আকুতি

  • আপডেট: ০৬:৩৭:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ৩০

হাজীগঞ্জ, ১৫ ডিসেম্বর, রবিবার:
হাজীগঞ্জে ছেলের নির্যাতন, মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে অসহায় বৃদ্ধা মায়ের আকুতি কেউ শুনে না। থানা পুলিশ এমনকি আদালতে বিচারপ্রার্থী হয়েও নিজ সন্তানের নির্যাতন অত্যাচার থেকে রেহায় পাচ্ছেনা মাজেদা বেগম নামের ৮০ বছরের এক বৃদ্ধা। সহায় সম্পত্তি জোরপূর্বক লিখে নিয়ে এখন শেষ সম্বল স্বামীর পেনশনের ভাতার বইটি ছিনিয়ে নিতে মারধর এবং নির্যাতন করে আসছে বলে কান্না জড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করেন স্বামী হারা ওই মা।
কোন স্থানে বিচার না পেয়ে বৃদ্ধা মাজেদা বেগম চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আসনের সংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এর আশ্রয় প্রার্থনা করছেন। মাজেদা বেগম কখনো তার বড় বোনের ছেলেদের আশ্রয়ে কখনো পাড়া-প্রতিবেশীর বারান্দায় থেকে জীবন-যাপন করে আসছেন। মৃত্যুর পর শেষ ঠিকানা কবরের জায়গা নিয়েও চিন্তিত মাজেদা বেগম।
এক মাত্র ছেলে জিল্লুর রহমান হেলাল মা এবং বোনদের সম্পত্তি জোরপূর্বক লিখে নিয়ে বৃদ্ধ মা এবং বোনদের অমানুষিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
অসহায় বৃদ্ধা মাজেদা বেগম উপজেলার ৩নং কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের মাড়কী উত্তর পাড়া দত্ত বাড়ির মৃত এসএম মুসলিমের স্ত্রী। স্বামী এসএম মুসলিম ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রনালয়ের গাড়ি চালক হিসেবে সরকারি চাকরির সুবাদে ৩ মেয়ে ১ ছেলে রেখে ১ বছরের চুক্তিতে ইরাকে পাড়ি জমায়। ইরাকে চাকরি করা অবস্থায় ১৯৭৯ সালের ২৫ এপ্রিল সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায়।
ওই সময় থেকে প্রতিকুল পরিবেশে জীবন যুদ্ধে বিধবা মাজেদা বেগম তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে মানুষের বাড়ীতে কামলা খেটে দুঃখ কষ্টের মধ্যে সন্তানদের বড় করে। স্বামীর মৃত্যুর পর ৭ বছরের শিশু সন্তান জিল্লুর রহমান হেলালকে কোলে পিঠে মানুষ করে আজ সেই পিঠে সইতে হচ্ছে সন্তানের বিভীষিকাময় নির্যাতন। এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বৃদ্ধা মাজেদা।
২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে মাজেদার ছেলে জিল্লুর রহমান ইরাকে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত বাবা এসএম মুসলিমের জন্য গঠিত ক্ষতিপূরণ ও কল্যাণ তহবিলের আর্থিক অনুদানের জন্য আবেদন করেন। এর পর টাকা উত্তোলনের সময় মা এবং বোনদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে নিলেও একটি পয়সা জুটেনি বৃদ্ধা মা এবং বোনদের জন্য।
মা এবং বোনদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করে বৌয়ের নামে লিখে দেয় হেলাল। তার শ^শুর উপজেলার ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের সাঁড়াষিয়া নিশ্চন্তপুর ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. আব্দুর বারী। ডা. আব্দুর বারী আওয়ামী লীগের বড় নেতার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে জামাই জিল্লুর রহমানকে সহযোগিতা করে আসছে বলে অভিযোগ করে নির্যাতিত মাজেদা।
মাজেদা বেগমের স্বামীর রেখে যাওয়া ২শত ৬০ শতক ভূমির মধ্যে ৫৪ শতক জমি বিক্রয় করে নাবালক সন্তানদের ভরণ-পোষণ করেন। এর দুই মেয়ের বিবাহের জন্য ৪৮ শতাংশ বিক্রয় করে। ছেলে জিল্লুর রহমান ইতালি যাওয়ার জন্য ৪৮ শতাংশ জমি বিক্রয় করে দেয়। এরপর ২৩ শতাংশ সম্পত্তি প্রতারণা করে একমাত্র ছেলে জিল্লুর রহমান নিজের নামে লিখে নিয়ে বৌয়ের নামে দিয়ে দেয়।
২০১৪ সালে মাজেদা বেগম অসুস্থ্য অবস্থায় ছেলে জিল্লুর রহমান হেলালের ঢাকা মিরপুরের বাসায় গেলে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। আবারো জিল্লু ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর মারধর মাকে মারধরে করে করে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিত মাজেদা।
এ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওই দিন হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হলে তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ওই হাসপাতাল থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে মাজেদা বেগম ও তার মেঝো মেয়ে ইয়াসমিন ও খাদিজা আক্তার নাজনীন কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় মাজেদা বেগম বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা আদালতে চলমান রয়েছে।
ছেলে জিল্লুর রহমান হেলাল মা এবং বোনদের নামে দুটি মামলা করে। ওই মামলা তার মায়ের পক্ষে রায় পায়।
মা মাজেদা বেগমকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে পুরো বাড়ি দখল করে রেখেছে হেলাল। একমাত্র ছেলে হেলালের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন মাজেদা বেগম।
মা এবং তিন বোনকে ভূমির খতিয়ান থেকে নাম বাদ দিতে আবেদন করে সে। মামলাবাজ প্রতারক হেলাল কয়েক দফায় মায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন বাহানায় জায়গা নিজের নামে লিখে নেয়।
তিনি বলেন, আমি কোথাও বিচার পাইনি। থানায় গিয়েছি কয়েকবার অভিযোগ করেছি কিন্তু কোন বিচার পাইনি। সবাই আমার ছেলে জিল্লুর টাকার কাছে বিক্রয় হয়ে যাই। আমি এখন বাউড়া গ্রামে আমার বড় বোনের বাড়িতে থাকি। ছেলে আমার বরণ পোষণ দেয় না। এখানে এসেও আমাকে অপমান অপদস্ত করে। গাল-মন্দ করে। জিল্লু তার বোনদেরকেও মারধর করেছে। আলীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হলে মাড়কী গ্রামের রতনসহ এসে আমাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। পড়ে কচুয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হই। আওয়ামী লীগের নাম বেচে, বেচে আমার সহায় সম্পত্তি নিয়ে যায়।
মাজেদা বেগম জানান,জিল্লুর রহমান এ পর্যন্ত দুটি বিয়ে করেছে। পরকিয়া প্রেমে পড়ে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সাড়াষিয়া গ্রামের ডা. আব্দুল বারীর মেয়েকে বিয়ে করে।

এ বিষয়ে জিল্লুর রহমান হেলালের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আপনারা এ বিষয়ে এলাকায় গিয়ে খোঁজ- খবর নিয়ে দেখেন কোন সত্য আর কোনটা মিথ্যা। এ বলে লাইন কেটে দেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি কয়েকবার বসেছি, এটা তাদের পারিবারিক সমস্যা।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর

হাজীগঞ্জে সন্তানের নির্যাতন, মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে অসহায় বৃদ্ধা মায়ের আকুতি

আপডেট: ০৬:৩৭:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

হাজীগঞ্জ, ১৫ ডিসেম্বর, রবিবার:
হাজীগঞ্জে ছেলের নির্যাতন, মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে অসহায় বৃদ্ধা মায়ের আকুতি কেউ শুনে না। থানা পুলিশ এমনকি আদালতে বিচারপ্রার্থী হয়েও নিজ সন্তানের নির্যাতন অত্যাচার থেকে রেহায় পাচ্ছেনা মাজেদা বেগম নামের ৮০ বছরের এক বৃদ্ধা। সহায় সম্পত্তি জোরপূর্বক লিখে নিয়ে এখন শেষ সম্বল স্বামীর পেনশনের ভাতার বইটি ছিনিয়ে নিতে মারধর এবং নির্যাতন করে আসছে বলে কান্না জড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করেন স্বামী হারা ওই মা।
কোন স্থানে বিচার না পেয়ে বৃদ্ধা মাজেদা বেগম চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আসনের সংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এর আশ্রয় প্রার্থনা করছেন। মাজেদা বেগম কখনো তার বড় বোনের ছেলেদের আশ্রয়ে কখনো পাড়া-প্রতিবেশীর বারান্দায় থেকে জীবন-যাপন করে আসছেন। মৃত্যুর পর শেষ ঠিকানা কবরের জায়গা নিয়েও চিন্তিত মাজেদা বেগম।
এক মাত্র ছেলে জিল্লুর রহমান হেলাল মা এবং বোনদের সম্পত্তি জোরপূর্বক লিখে নিয়ে বৃদ্ধ মা এবং বোনদের অমানুষিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
অসহায় বৃদ্ধা মাজেদা বেগম উপজেলার ৩নং কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের মাড়কী উত্তর পাড়া দত্ত বাড়ির মৃত এসএম মুসলিমের স্ত্রী। স্বামী এসএম মুসলিম ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রনালয়ের গাড়ি চালক হিসেবে সরকারি চাকরির সুবাদে ৩ মেয়ে ১ ছেলে রেখে ১ বছরের চুক্তিতে ইরাকে পাড়ি জমায়। ইরাকে চাকরি করা অবস্থায় ১৯৭৯ সালের ২৫ এপ্রিল সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায়।
ওই সময় থেকে প্রতিকুল পরিবেশে জীবন যুদ্ধে বিধবা মাজেদা বেগম তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে মানুষের বাড়ীতে কামলা খেটে দুঃখ কষ্টের মধ্যে সন্তানদের বড় করে। স্বামীর মৃত্যুর পর ৭ বছরের শিশু সন্তান জিল্লুর রহমান হেলালকে কোলে পিঠে মানুষ করে আজ সেই পিঠে সইতে হচ্ছে সন্তানের বিভীষিকাময় নির্যাতন। এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বৃদ্ধা মাজেদা।
২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে মাজেদার ছেলে জিল্লুর রহমান ইরাকে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত বাবা এসএম মুসলিমের জন্য গঠিত ক্ষতিপূরণ ও কল্যাণ তহবিলের আর্থিক অনুদানের জন্য আবেদন করেন। এর পর টাকা উত্তোলনের সময় মা এবং বোনদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে নিলেও একটি পয়সা জুটেনি বৃদ্ধা মা এবং বোনদের জন্য।
মা এবং বোনদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করে বৌয়ের নামে লিখে দেয় হেলাল। তার শ^শুর উপজেলার ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের সাঁড়াষিয়া নিশ্চন্তপুর ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. আব্দুর বারী। ডা. আব্দুর বারী আওয়ামী লীগের বড় নেতার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে জামাই জিল্লুর রহমানকে সহযোগিতা করে আসছে বলে অভিযোগ করে নির্যাতিত মাজেদা।
মাজেদা বেগমের স্বামীর রেখে যাওয়া ২শত ৬০ শতক ভূমির মধ্যে ৫৪ শতক জমি বিক্রয় করে নাবালক সন্তানদের ভরণ-পোষণ করেন। এর দুই মেয়ের বিবাহের জন্য ৪৮ শতাংশ বিক্রয় করে। ছেলে জিল্লুর রহমান ইতালি যাওয়ার জন্য ৪৮ শতাংশ জমি বিক্রয় করে দেয়। এরপর ২৩ শতাংশ সম্পত্তি প্রতারণা করে একমাত্র ছেলে জিল্লুর রহমান নিজের নামে লিখে নিয়ে বৌয়ের নামে দিয়ে দেয়।
২০১৪ সালে মাজেদা বেগম অসুস্থ্য অবস্থায় ছেলে জিল্লুর রহমান হেলালের ঢাকা মিরপুরের বাসায় গেলে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। আবারো জিল্লু ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর মারধর মাকে মারধরে করে করে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিত মাজেদা।
এ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওই দিন হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হলে তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ওই হাসপাতাল থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে মাজেদা বেগম ও তার মেঝো মেয়ে ইয়াসমিন ও খাদিজা আক্তার নাজনীন কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় মাজেদা বেগম বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা আদালতে চলমান রয়েছে।
ছেলে জিল্লুর রহমান হেলাল মা এবং বোনদের নামে দুটি মামলা করে। ওই মামলা তার মায়ের পক্ষে রায় পায়।
মা মাজেদা বেগমকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে পুরো বাড়ি দখল করে রেখেছে হেলাল। একমাত্র ছেলে হেলালের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন মাজেদা বেগম।
মা এবং তিন বোনকে ভূমির খতিয়ান থেকে নাম বাদ দিতে আবেদন করে সে। মামলাবাজ প্রতারক হেলাল কয়েক দফায় মায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন বাহানায় জায়গা নিজের নামে লিখে নেয়।
তিনি বলেন, আমি কোথাও বিচার পাইনি। থানায় গিয়েছি কয়েকবার অভিযোগ করেছি কিন্তু কোন বিচার পাইনি। সবাই আমার ছেলে জিল্লুর টাকার কাছে বিক্রয় হয়ে যাই। আমি এখন বাউড়া গ্রামে আমার বড় বোনের বাড়িতে থাকি। ছেলে আমার বরণ পোষণ দেয় না। এখানে এসেও আমাকে অপমান অপদস্ত করে। গাল-মন্দ করে। জিল্লু তার বোনদেরকেও মারধর করেছে। আলীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হলে মাড়কী গ্রামের রতনসহ এসে আমাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। পড়ে কচুয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হই। আওয়ামী লীগের নাম বেচে, বেচে আমার সহায় সম্পত্তি নিয়ে যায়।
মাজেদা বেগম জানান,জিল্লুর রহমান এ পর্যন্ত দুটি বিয়ে করেছে। পরকিয়া প্রেমে পড়ে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সাড়াষিয়া গ্রামের ডা. আব্দুল বারীর মেয়েকে বিয়ে করে।

এ বিষয়ে জিল্লুর রহমান হেলালের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আপনারা এ বিষয়ে এলাকায় গিয়ে খোঁজ- খবর নিয়ে দেখেন কোন সত্য আর কোনটা মিথ্যা। এ বলে লাইন কেটে দেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি কয়েকবার বসেছি, এটা তাদের পারিবারিক সমস্যা।