সাবেক স্বামী পাইলট এস এম পারভেজ সানজারির শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে সংগীতশিল্পী মিলার বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছেন সানজারির বাবা এস এম নাসির উদ্দিন।
গত বুধবার করা ওই মামলায় মিলা ছাড়াও তার সহকারী পিটার কিমকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে মিলা আজ শুক্রবার গনমাধ্যমকে বলেন, ‘ভালো আর কেমনে থাকব, এক নম্বর আসামি হয়ে গেছি। আপনি বোঝেন, অ্যাটেম টু মার্ডার এবং অ্যাসিড নিক্ষেপের এক নম্বর আসামি মানে কী? আমার তো জীবন শেষ এখানে। আমি কি এমন একটা বোকামি করব নাকি, দেশের সেরা আর্টিস্ট হয়ে?’
এই সংগীতশিল্পী আরও বলেন, ‘আমাকে এক নম্বর আসামি করা মানে ওর (পারভেজ সানজারি) বিরুদ্ধে আমার যা যা অভিযোগ আছে, অ্যাসিড মারার পরে তা আর থাকে? আমার মামলাই তো এখানে শেষ হয়ে যায়।’
মামলার বিষয়ে পুলিশ কিছু বলেছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মিলা বলেন, ‘পুলিশ একবার জিজ্ঞেস করেছে, কিন্তু অ্যারেস্টের (গ্রেপ্তার) বিষয়ে কিছু বলেনি। পুলিশে বলেছে, আমরা তো প্রমাণ পাইনি।’
মিলা বলেন, ‘আমি কোনোভাবে বুঝতেছি না, একটা জিনিস কি মানুষের মাথায় আসার কথা না যে, এরকম একটা মামলা চলতেছে, এই পরিস্থিতিতে ও (সানজারি) যদি আমার কোনো ক্ষতি করে বা আমি যদি তার ক্ষতি করি, স্বাভাবিকভাবেই তো ওরে দোষ দেবে বা আমাকে দোষা দেবে, তাই না?’
সহকারী পিটার কিম অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে জানিয়ে মিলা বলেন, ‘নিশ্চয় আমি তো বস্তির ছ্যাঁচড়ার মতো কাজ করব না। আর যদি ছ্যাঁচড়ার মতো কাজ করাতেই হতো, আমি কি আমার অ্যাসিস্ট্যান্টরে বলাতাম যে, “তুই গিয়ে কর”। নিশ্চয় না, রাস্তার একটা ছেলেকে বলতাম। এখন আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট গেছে ভেগে, ছেলেটা একটু পাগল টাইপের। ও (অ্যাসিড নিক্ষেপ) করতেই পারে। এখন ছেলেটাকে তো আমরা কন্টাক্ট করার চেষ্টা করছি। কিন্তু সানজারি যেগুলো বলতেছে, আমার গাড়ি দাঁড়াই ছিল ওখানে, এগুলোর তো একটা প্রমাণ থাকতে হবে।’
সাবেক স্বামীর কাছে মিডিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে মিলা বলেন, ‘আমি যাইতেও পারতেছি না ওখানে। আমি বারবার চাচ্ছি যে ওখানে যাব, আমার যাওয়াটা কিন্তু খুব জরুরি। আমি না গেলে বার্নটাও দেখতেছি না। ওরে (পারভেজ সানজারি) আমি ভালো করে চিনি, ও একমাত্র আমার সামনেই ভয় পাবে। আমি ওর সামনে দাঁড়ালে ও কিন্তু তখন… একদম মিডিয়া নিয়ে যাওয়া উচিত ওর সামনে।’
সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন মিলা। তবে সানজারির অভিযোগ, বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে মিলা তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। তারা প্রায়ই একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন।
কণ্ঠশিল্পী মিলার সঙ্গে ২০১৭ সালের মে মাসে পারিবারিকভাবে বৈমানিক পারভেজ সানজারির বিয়ে হয়। এরপর ওই বছরের অক্টোবরে মিলা বাদী হয়ে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী নির্যাতন ও যৌতুক দাবির অভিযোগ করে সানজারির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মিলার করা সেই মামলা এখনো চলমান। এরইমধ্যে ২০১৮ সালের ২২ মে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।