অনলাইন ডেস্ক:
শনিবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বেলা ১১টার দিকে সম্মেলনস্থলে পৌঁছান শেখ হাসিনা। এ সময় সম্মেলনের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। পরে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।
এদিন বিকালে রমনার বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে মহানগরের দুই অংশের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ক্যাসিনোকাণ্ডে রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার নামের সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েক নেতার নাম আলোচনায় আসে। এরপর থেকে কাউন্সিলকে সামনে রেখে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের নেতৃত্বে আনতে কাজ করছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড।
এরই মধ্যে বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারী নেতাদের একটি তালিকা তৈরি করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পাশাপাশি নতুন নেতৃত্বে কারা আসবেন, তারও খসড়া তালিকা প্রস্তুত করেছেন তিনি। কাউন্সিলের মাধ্যমে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির একটি চ্যালেঞ্জিং কমিটি উপহার দেবেন তিনি।
২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। এর তিন বছর পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়।
২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ, ৪৫টি থানা, ১০০টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নগুলোর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এরপর ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।