হাজীগঞ্জ, ২৯ নভেম্বর, শুক্রবার॥
হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে হঠাৎ আলোচনায় আসছে হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক ২ মেয়াদের ডিজিটাল ‘এ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত অন্যতম শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার।
গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগা-যোগ মাধ্যমে ফেইসবুকসহ স্থানীয় পত্রিকায় প্রচার প্রচারণায় তিনি আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করছেন বলে জানা গেছে।
সম্মেলনকে ঘিরে সম্ভাব্য সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা বিভিন্নভাবে প্রচারণায় থাকলেও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক আ. রশিদ মজুমদার ছিলেন এক প্রকার নিরব। সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আসায় আসন্ন হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রচার প্রচারণা জমজমাট হয়ে উঠছে। পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামের মজুমদার বাড়ির মৃত আলহাজ¦ আ. মতিন মজুমদারের ছেলে আলহাজ¦ অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার। বিএ (সম্মান) ও এমএ অর্থনীতি’তে ডিগ্রিধারী আব্দুর রশিদ মজুমদার ১৯৮০ সালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন। ১৯৮০ সালে ডিগ্রী কলেজে অধ্যাপনা কালে ৩ মেয়াদে পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত হই।
ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৬৯ সালে আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত।
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার দেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার হতে পুরস্কার ও এ্যাওয়ার্ড লাভ করে উপজেলাকে সম্মানিত করেছেন। এরপর তিনি ২০১৪ সালে টানা দুই মেয়াদে উপজেলা চেয়ার্যান নির্বাচিত হন।
২০১২ সালে সামাজিক কর্মদক্ষতা ও সু-সাশন বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ইউরোপ, এশিয়া ১২টি দেশ ভ্রমনের এবং সে দেশের সু-সাশন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য প্রেরণ করেন।
এর আগে তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৩ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আ. রব, ১৯৯৬,২০০১ ও ২০০৮ সালে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এর নৌকা প্রতীকের চিপ এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে নৌকার বিজয় অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন। গত সংসদ নির্বাচনে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির পক্ষে সক্রীয়ভাবে প্রচার প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে নৌকা মার্কাকে বিজয় করতে ভূমিকা রাখি।
২০০১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও চিপ এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজমুদার। ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে আমিন মেমোরিয়াল উ”চ বিদ্যালয়ের ভিপি হওয়ার পর থেকে, এখন পর্যন্ত জাতীয় ও ¯’ানীয় সকল নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত ও সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন তিনি।
২০০০ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দলীয় সংবিধান মেনে সু-শৃঙ্খলভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার। বর্তমানে তিনি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতিও ছিলেন।
অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার সমাজ কল্যান মূলক প্রতিষ্ঠান “সবুজ সংঘ” আজীবন সদস। হাজীগঞ্জ বনফুল সংঘ সামাজিক সংগঠনের আজীবন সদস্য। হাজীগঞ্জ আমিন মেমোরিয়াল উ”চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি। হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের উপদেষ্টা। নির্মিতব্য হাজীগঞ্জ মডেল হাসপাতালের মহাপরিচালক হিসাবে শেয়ার হোল্ডারদের মাধ্যমে নির্বাচিত হই। রোটারী কাব অব হাজীগঞ্জের সম্মানিত সদস্য। হাজীগঞ্জ ব্লাড ডোনার্স কাবের আহবায়ক। এছাড়া জনপ্রতিনিধি থাকা কালীন অব¯’ায় এবং দলীয় দায়িত্বে থাকা কালীন সময় আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা ব্যতিত কোন দুর্নীতির মামলা বা অভিযোগ নাই। তিনি আরও অনেক সামাজিক সংগঠনের সাথে সক্রীয় ভাবে জড়িত থেকে মানুষের কল্যানে এবং আমার প্রান প্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামীলীগের আদর্শ সমুন্নত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঘোসিত সকল এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি। দলের মধ্যে ঐক্যের ধারা রাখার চেষ্টা অব্যাহত।
শিরোনাম:
হঠাৎ আলোচনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আ. রশিদ মজুমদার
Tag :
সর্বাধিক পঠিত