জিয়াউর রহমান হত্যার নেপথ্যে যারা ছিলেন তাদের বিচার হবে:বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীবুন নবী খান সোহেল

  • আপডেট: ০১:৩১:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৮

dav

চাঁদপুর॥

চাঁদপুর সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দ্বি- বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঢাকা দক্ষিনের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল।
এসময় তিনি বলেন,শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক চাঁদপুরে শক্তিশালী একটি বিএনপি গঠন করেছেন।
এখন আর আমি কাউকে জিজ্ঞাসা করি না আপনারা কেমন আছেন। আমি জানি আপনারা ভালো নাই। দেশের মানুষ কেউ ভালো নাই। কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র,শিক্ষক, জনতা কেউ আজ ভালো নেই। আবরারকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুয়েট যেখানে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা পড়ে। সেখানে মেধাবীদের হত্যা করা হয়েছে। আমি আবরারের শরীর দেখেছি। কি নির্মম ভাবে ছাত্রলীগ তাকে হত্যা করেছে। ফেনী নদীর পানি ভারতকে দিয়ে শেখ হাসিনা বলছেন ভারত খাবার পানি চেয়েছে,না দিয়ে কি পারি। আজ দেশের মানুষ পেয়াজ পাচ্ছেনা। তারা তো পেয়াজ দিলো না। এরা না আমাদের বন্ধু। শেখ হাসিনা বলছেন পেয়াজ ওনি খাননা।
গোপালগঞ্জের নারীদের অনেক মূল্য ওনারা নাকি পেয়াজ ছাড়া রান্না করেন। ফরাক্কাবাদ বন্ধ করে আপনি নিজের ইচ্ছায় দাদাদের সন্তুষ্টি করতে ফেনী নদীর পানি দিয়ে দিলেন। ভারত আমাদের জলসীমায় পর্যবেক্ষন করার জন্য রাডার বসাতে অনুমতি দিয়েছেন। শেখ হাসিনার মধ্যে দেশ প্রেম নেই, ওনি ভারতের দালাল।

তিনি আরো বলেন, ৮৬ কোটি টাকা চাঁদা চাওয়ার কারনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারন সম্পাদক চাকুরীচুত হয়েছেন। তাদের নামে কোন মামলা নেই,গ্রেফতারও হয়নি। শিক্ষকদের আগে ছাত্রলীগ চর থাপ্পর মারতো।এখন পানিতে চুবায়।
জাহাঙ্গীর নগরের ভিসি দেড় কোটি টাকা ছাত্রলীগকে ঘুষ দিয়েছে। আরেক ভিসি যুবলীগের সভাপতি হতে চায়। দেশে আওয়ামী লীগের সার্কাস চলছে। সারা বাংলাদেশে বিএনপির মামলা নেই এমন নেতাকর্মী খুজে পাওয়া যায় না।
শহীদ জিয়ার মৃত্যুর পর যারা হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলো তাদের বিচার হয়েছে। কিন্তু যারা নেপথ্যে ছিলো তাদের বিচার কিন্তু হয়নি। শেখ হাসিনা আপনি দেশে আসার ১৭ দিনের মাথায় জিয়াউর রহমান খুন হয়েছে। খালেদা জিয়া তার স্বামীর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য রাজনীতিতে এসেছেন। এসময় তিনি আরো বলেন,১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু এখন ৩৫ হাজার কোটি টাকা। পর্দা,বালিশ,কয়লা,টিন সব খাওয়া শেষ। তারা এখন বিছানার নিচে টাকা বিছিয়ে ঘুমান।
নিরপেক্ষ ভোট হলে আপনাদের জামানত থাকবে না। আওয়ামী লীগের ভোটের প্রয়োজন নাই,রাতের আধারে ভোট চুরি করে। বিএনপি বন্যার পানিতে ভেসে আসেনি। আমাদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি এবং সদর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এড.শামসুল ইসলাম মন্টু পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য এস এম কামাল উদ্দিন চৌধুরী, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সেলিম উল্ল্যাহ সেলিম,

কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ইয়াছিন আলী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আনোয়ার বাবলু,মুনির চৌধুরী,সেলিমুছ সালাম,ফেরদৌস আলম বাবু,জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী এড.মুনিরা বেগম চৌধুরী,জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক,সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার,জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হযরত আলী,জেলা কৃষক দলের সভাপতি এনায়েত উল্ল্যাহ খোকন,শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদ, কল্যানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন,২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বেপারী,১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক আসলাম তালুকদার,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ঈমান হোসেন গাজী প্রমুখ।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

জিয়াউর রহমান হত্যার নেপথ্যে যারা ছিলেন তাদের বিচার হবে:বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীবুন নবী খান সোহেল

আপডেট: ০১:৩১:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

চাঁদপুর॥

চাঁদপুর সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দ্বি- বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঢাকা দক্ষিনের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল।
এসময় তিনি বলেন,শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক চাঁদপুরে শক্তিশালী একটি বিএনপি গঠন করেছেন।
এখন আর আমি কাউকে জিজ্ঞাসা করি না আপনারা কেমন আছেন। আমি জানি আপনারা ভালো নাই। দেশের মানুষ কেউ ভালো নাই। কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র,শিক্ষক, জনতা কেউ আজ ভালো নেই। আবরারকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুয়েট যেখানে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা পড়ে। সেখানে মেধাবীদের হত্যা করা হয়েছে। আমি আবরারের শরীর দেখেছি। কি নির্মম ভাবে ছাত্রলীগ তাকে হত্যা করেছে। ফেনী নদীর পানি ভারতকে দিয়ে শেখ হাসিনা বলছেন ভারত খাবার পানি চেয়েছে,না দিয়ে কি পারি। আজ দেশের মানুষ পেয়াজ পাচ্ছেনা। তারা তো পেয়াজ দিলো না। এরা না আমাদের বন্ধু। শেখ হাসিনা বলছেন পেয়াজ ওনি খাননা।
গোপালগঞ্জের নারীদের অনেক মূল্য ওনারা নাকি পেয়াজ ছাড়া রান্না করেন। ফরাক্কাবাদ বন্ধ করে আপনি নিজের ইচ্ছায় দাদাদের সন্তুষ্টি করতে ফেনী নদীর পানি দিয়ে দিলেন। ভারত আমাদের জলসীমায় পর্যবেক্ষন করার জন্য রাডার বসাতে অনুমতি দিয়েছেন। শেখ হাসিনার মধ্যে দেশ প্রেম নেই, ওনি ভারতের দালাল।

তিনি আরো বলেন, ৮৬ কোটি টাকা চাঁদা চাওয়ার কারনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারন সম্পাদক চাকুরীচুত হয়েছেন। তাদের নামে কোন মামলা নেই,গ্রেফতারও হয়নি। শিক্ষকদের আগে ছাত্রলীগ চর থাপ্পর মারতো।এখন পানিতে চুবায়।
জাহাঙ্গীর নগরের ভিসি দেড় কোটি টাকা ছাত্রলীগকে ঘুষ দিয়েছে। আরেক ভিসি যুবলীগের সভাপতি হতে চায়। দেশে আওয়ামী লীগের সার্কাস চলছে। সারা বাংলাদেশে বিএনপির মামলা নেই এমন নেতাকর্মী খুজে পাওয়া যায় না।
শহীদ জিয়ার মৃত্যুর পর যারা হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলো তাদের বিচার হয়েছে। কিন্তু যারা নেপথ্যে ছিলো তাদের বিচার কিন্তু হয়নি। শেখ হাসিনা আপনি দেশে আসার ১৭ দিনের মাথায় জিয়াউর রহমান খুন হয়েছে। খালেদা জিয়া তার স্বামীর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য রাজনীতিতে এসেছেন। এসময় তিনি আরো বলেন,১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু এখন ৩৫ হাজার কোটি টাকা। পর্দা,বালিশ,কয়লা,টিন সব খাওয়া শেষ। তারা এখন বিছানার নিচে টাকা বিছিয়ে ঘুমান।
নিরপেক্ষ ভোট হলে আপনাদের জামানত থাকবে না। আওয়ামী লীগের ভোটের প্রয়োজন নাই,রাতের আধারে ভোট চুরি করে। বিএনপি বন্যার পানিতে ভেসে আসেনি। আমাদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি এবং সদর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এড.শামসুল ইসলাম মন্টু পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য এস এম কামাল উদ্দিন চৌধুরী, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সেলিম উল্ল্যাহ সেলিম,

কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ইয়াছিন আলী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আনোয়ার বাবলু,মুনির চৌধুরী,সেলিমুছ সালাম,ফেরদৌস আলম বাবু,জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী এড.মুনিরা বেগম চৌধুরী,জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক,সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার,জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হযরত আলী,জেলা কৃষক দলের সভাপতি এনায়েত উল্ল্যাহ খোকন,শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদ, কল্যানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন,২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বেপারী,১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক আসলাম তালুকদার,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ঈমান হোসেন গাজী প্রমুখ।