গাজী মহিনউদ্দিন/ রেজাউল করিম নয়ন:
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন জননন্দিত জনপ্রতিনিধি, ৮০ দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন মন্টু মেম্বার। ১৯৭৯ সালের ছাত্র লীগের রাজনৈতিক হাতেখড়ি লাকসাম নবাব ফয়েজুন্নেসা কলেজের এজিএস মমতাজ উদ্দিন মন্টু মেম্বার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে মামলা হামলার শিকার হয়েছেন। এমনকি কয়েক দফা রাজনৈতিক মামলায় জেল খাটতে হয়েছে তাকে।
এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেন প্রবীণ এ আওয়ামীলীগ নেতা। আলহাজ¦ মমতাজ উদ্দিন মেম্বার ১৯৭৯ সালে হাজীগঞ্জ পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। এর পর লাকসাম নবাব ফয়েজুন্নেসা কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন। ছাত্রলীগ করার কারণে মামলা হামলা শিকার হয়ে জেলে যেতে হয়েছে একাধিক বার।
১৯৮১ সালে ছাত্রলীগ প্যানেলে নবাব ফয়েজুন্নেসা কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সামছু-দিদার পরিষদ থেকে এজিএস নির্বাচিত হন। রাঙ্গামাটি কলেজে ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হলেও রাজনৈতিক কারণে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয়নি তার। ১৯৮৩-৮৪ সালে গন্ধর্ব্যপুর আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করেন। দুঃসময়ে দলের হাল ধরে রাখার জন্য নেতাকর্মীরা ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব চাপিয়ে দেয় তার উপর। ওই সময়ে বাবার সম্পত্তি বিক্রয় করে নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর এবং বিভিন্ন ভাবে আর্থিক সহযোগিতা করেন।
আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন মন্টু ইউনিয়নের সর্বতারা, মৈশামুড়া, আহম্মদপুর, মোহাম্মদপুর সাবেক বৃহত্তর ৩নং ওয়ার্ডে ১৯৮৮ সাল থেকে দীর্ঘ টানা চার নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে জয়ী হয়ে প্রায় ২৫ বছর যাবৎ জনসেবার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন। টানা দুইবার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনীতি করতে গিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮টি রাজনৈতিক মামলার শিকার হতে হয়েছে। একাধিকবার কারাবরণ করতে হয়েছে এ প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতাকে।
আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন মন্টু বলেন, ১৯৭৯ সালে হাজীগঞ্জ হাইস্কুলের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে আব্দুর রব মিয়া, ডা. আব্দুস ছাত্তার, আলী আহম্মদ মিয়া, নসু চৌধুরীর নেতৃত্বে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে মিটিং মিছিলে অংশ গ্রহণ করেছি। লাকসাম নবাব ফয়েজুন্নেসা কলেজে রাজনীতি করার সময়ে মামলা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। জেলে খেটেছি। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সামছু-দিদার পরিষদে এজিএস নির্বাচিত হয়েছি। এরপর এলাকায় এসে রাজনীতি করেছি। তখন আওয়ামী লীগের দূর্দিন ছিল দলীয় পদ নেওয়ার জন্য কোন লোক ছিল না।
আমাকে জোর করে আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নেতাকর্মীদের সাধ্যমত সহযোগিতা চেষ্টা করেছি। সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমি আশাবাদী নেতাকর্মীরা আমার অতীতের কর্মকান্ড দেখে ভোটের মাধ্যমে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত করবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
https://www.facebook.com/NotunerKotha/videos/1728116917320709/?t=12