মতলবে মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার চেষ্টা

  • আপডেট: ০১:১৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৯

মতলব ব্যুরো:

মতলব সেতুর উপর থেকে ধনাগোদা নদীতে ফেলে মোঃ ইরফাত (১৬) নামের দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত ১৬ নভেম্বর শনিবার রাত প্রায় সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন ছাত্রটির বাবা পৌরসভার দক্ষিণ বাইশপুর এলাকার মোঃ সফিক মিয়া। ছাত্রটির মা রিনা বেগম জানায়, ওই রাতে আমার ছেলে ইরফাত তার পড়ার কক্ষে পড়ছিল। মোবাইলে কার সাথে যেন কথা হয়। এরপর আমাকে কিছু না বলেই ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। ভেবেছিলাম বাহিরে গেছে, অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলে ঘরে না ফেরার কারণে খোঁজাখুজি শুরু করি। ঘন্টা তিনেক পরে ভেজা শরীরে বাড়িতে ফিরে আমার ছেলে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে ও বিষয়টি আমাদের বলে।

ইরফাতের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমাকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে চটপটি খাওয়ার কথা জানিয়ে সেতুর উপর আসতে বলে। কে আমাকে ফোন দিলো আমি তাকে খুঁজতে থাকি। এমন সময় দু’জন অপরিচিত লোক আমার সামনে আসে ও আমার সাথে কথা বলে। আমি তাদেরকে বলি, আপনারা কারা আমিতো আপনাদের চিনিনা। তারা আমাকে কথা বলতে বলতে সেতুর রেলিংয়ের কাছে নিয়ে পা ধরে উল্টো করে ফেলে দেয়। নৌকার মাঝি সফিক বলেন, ওই সময় আমি লাইট দিয়ে মাছ ধরতে ছিলাম। হঠাৎ পানিতে শব্দ শুনে এগিয়ে গেলে তাকে দেখে উদ্বার করি। ছেলেটি অসুস্থ হওয়ায় তাকে মতলব সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

মতলবে মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার চেষ্টা

আপডেট: ০১:১৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯

মতলব ব্যুরো:

মতলব সেতুর উপর থেকে ধনাগোদা নদীতে ফেলে মোঃ ইরফাত (১৬) নামের দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত ১৬ নভেম্বর শনিবার রাত প্রায় সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন ছাত্রটির বাবা পৌরসভার দক্ষিণ বাইশপুর এলাকার মোঃ সফিক মিয়া। ছাত্রটির মা রিনা বেগম জানায়, ওই রাতে আমার ছেলে ইরফাত তার পড়ার কক্ষে পড়ছিল। মোবাইলে কার সাথে যেন কথা হয়। এরপর আমাকে কিছু না বলেই ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। ভেবেছিলাম বাহিরে গেছে, অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলে ঘরে না ফেরার কারণে খোঁজাখুজি শুরু করি। ঘন্টা তিনেক পরে ভেজা শরীরে বাড়িতে ফিরে আমার ছেলে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে ও বিষয়টি আমাদের বলে।

ইরফাতের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমাকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে চটপটি খাওয়ার কথা জানিয়ে সেতুর উপর আসতে বলে। কে আমাকে ফোন দিলো আমি তাকে খুঁজতে থাকি। এমন সময় দু’জন অপরিচিত লোক আমার সামনে আসে ও আমার সাথে কথা বলে। আমি তাদেরকে বলি, আপনারা কারা আমিতো আপনাদের চিনিনা। তারা আমাকে কথা বলতে বলতে সেতুর রেলিংয়ের কাছে নিয়ে পা ধরে উল্টো করে ফেলে দেয়। নৌকার মাঝি সফিক বলেন, ওই সময় আমি লাইট দিয়ে মাছ ধরতে ছিলাম। হঠাৎ পানিতে শব্দ শুনে এগিয়ে গেলে তাকে দেখে উদ্বার করি। ছেলেটি অসুস্থ হওয়ায় তাকে মতলব সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।