হাইমচর, ১৪ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার:
সিলেটে শাহ জালালের (র.) মাজার জিয়ারত করে উদয়ন ট্রেনে ফিরছিলেন চাঁদপুরের হাইমচরের তিকশিকান্দির জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার পরিবার। মঙ্গলবার মধ্য রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা মন্দবাগ এলাকায় যখন দুই ট্রেনের সংঘর্ষ হয়, তখন তারা ছিলেন উদয়ন ট্রেনের দশ নম্বর বগিতে।
দুর্ঘটনায় নিহত হন দুর্ঘটনায় নিহত হন জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী আমাতন বেগম (৩৫), মেয়ে মরিয়ম (৫), বোনের ছেলে মাঈনুদ্দিনের স্ত্রী কাকলী বেগম। দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন জাহাঙ্গীর হোসেন, ভাগনের শিশু সন্তান মাহিমা এবং বোন রাহিমা বেগম।
আরো পড়ুন: বাবার কোলে চড়ে গ্রামে ফিরলেন সেই ফাহিমা
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন জাহাঙ্গীর। তার বাঁ পা ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তিনি চেতনা ফিরে পেলে পরিবার-পরিজনের খবর জানতে চান নার্সদের কাছে। কিন্তু নার্সরা তাকে পরিবারের খবর জানাননি। রাত সাড়ে আটটার দিকে জাহাঙ্গীরের পরিবারের নিহত তিনজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছুক্ষণের জন্য আনেন তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু জাহাঙ্গীরের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে তাকে তাদের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি।
আরো পড়ুন:কসবায় দুই ট্রেনের ভয়াবহ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৬, দুমড়ে-মুছড়ে যাওয়া বগিতে আটক আছে কয়েকজন
পরে তিনজনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চাঁদপুরের হাইমচরে।
চাঁদপুরের হাইমচরের তিকশিকান্দির হাসিম আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০) তার স্ত্রী আমাতন বেগম (৩৫), মেয়ে মরিয়ম (৫), বোন রাহিমা বেগম (৪৫), বোনের ছেলে মাঈনুদ্দিনের স্ত্রী কাকলী বেগম ও তার শিশু কন্যা মাহিমাকে নিয়ে ৬ নভেম্বর সিলেট যান।
হজরত শাহ জালাল (র) এর মাজার জিয়ারত শেষে তারা সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেসে করে ফিরছিলেন। ছিলেন পেছনের দিকের বগিতে। আহত বোন রাহিমা ও শিশু মাহিমা ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরো পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা: চাঁদপুরে একই পরিবারের ৩জনসহ নিহত ৬, আহত ১০
আহত জাহাঙ্গীর তার পরিবারের লোকদের খুঁজে বের করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীরের অবস্থা ভালো না, তিনি জানান, ভেঙে যাওয়া স্থানে এখন অস্ত্রোপচার করা যাবে না, তার শরীর দুর্বল। এই মুহূর্তে জাহাঙ্গীরকে বেশি কথা বলতে দেওয়া যাবে না। তিনি মানসিক চাপে আছেন এবং শারীরিকভাবেও সে অনেক দুর্বল। তিনি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দ্বিতীয় তলায় ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।