নিজস্ব প্রতিবেদক:
এক যুগেরও বেশি সময়ের পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন। সর্বশেষ ২০০৬ সালের ৩১ মে ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় ঢাকা মহানগরকে উত্তর ও দক্ষিণ দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। ২০১২ সালে স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলন হলেও মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন হয়নি। ১১ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও ১২ নভেম্বর উত্তরের সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করার পর থেকেই চাঙা হয়ে উঠেছে উভয় অংশের নেতাকর্মীরা। ইতিমধ্যে নেতাকর্মীদের মাঝে আগের তুলনায় অনেক বেশি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের দূদিনের সাবেক ও কেন্দ্রীয় এক ছাত্রলীগের নেতা কামরুল হাসান রিপনের নাম উঠে এসেছে। যিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। রিপন স্কুল জীবন থেকে আওয়ামী পরিবারের সাথে উৎপেরিত ভাবে জড়িত এবং কাজ করে আসছেন। দায়িত্ব পালন করেছেন কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে। ছাত্রলীগ থাকাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাভার্ড ভ্যান হিসেবে কাজ করেছেন। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ায় এখন তিনি স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত। ১/১১ এর সময় যখন দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা কিছুটা পিছপা হচ্ছিলেন তখন জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকে সু-সংগঠিত করে শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনের গতিকে তরান্বিত করেছেন এই ইউনিটের রিপন ও তার নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়েল ছাত্রনেতা থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী বিরোধী দলের (বিএনপি) হামলায় গুরুতর আহত হন এদের মধ্যে অনেকেই। তাদের চিকিৎসার খবর নিতে পুরান ঢাকার সুমনা হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরা ২০১২-২০১৭ সাল পর্যন্ত জবি ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন। ক্যাম্পাস ও পুরাতন ঢাকাকে বিএনপি জামায়াতের অবৈধ হরতাল, অবরোধ, অগ্নি সন্ত্রাস, জ্বালাও পোড়ার আন্দোলন মোকাবেলায় রাজপথে সর্বদা সাহসী ভুমিকা পালন করেন।
ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি পদে যে নতুন মুখ আসবে এটি মোটামুটি নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে খুলে যেতে পারে ক্ষমতাসীন দলের দূদিনের সাবেক ছাত্রনেতাদের কপাল। দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ পদের আলোচনায় আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা কামরুল হাসান রিপন।
এদিকে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের শীর্ষ পদ পেতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের বাসা ও অফিসে ধরণা দিতে দেখা যাচ্ছে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদেরকে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়মিতই হাজিরা দিচ্ছেন। তবে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা বলছেন, ত্যাগী ও যোগ্য ব্যক্তিদেরই এবার সুযোগ দেয়া হবে। যারা ক্লীন ইমেজের কর্মী, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই, যারা দলের জন্য নিবেদিত তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী জায়গা দেয়া হবে। যারা অন্যায় ও দলীয় শৃঙ্খলার বহিরভূত কাজ করেছেন তাদেরকে কোনো অবস্থাতেই নেতৃত্বে আনা হবেনা।