নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বেচ্ছাসেবক লীগের দক্ষিণের সভপতি হিসেবে কামরুল হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আনিসুজ্জামান রানা এবং উত্তরে সভাপতি হিসেবে ইসহাক মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এ কে এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল নেতৃত্বে আসছেন। আওয়া লীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
রিপন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং রানা ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
অন্যদিকে ইসহাক ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাবেক সভাপতি এবং বিপুল স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
প্রায় ১৩ বছর পর সোমবার স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সম্মেলন এবং মঙ্গলবার উত্তর শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম আগামী ১৬ নভেম্বর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের দিন ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিকেলে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং উত্তর দক্ষিণ শাখার নব নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হবে।
দলীয় সূত্র বলছে, এবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব বাছায়ের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে পদপ্রত্যাশীদের কর্মকান্ড বিশ্লেষন করা হয়েছে। সম্প্রতি দলের মধ্যে শুরু হওয়া শুদ্ধি অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ মহানগরের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। সম্মেলনের এসব নেতা বিবেচনার থেকেছেন। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগরে ছাত্রলীগের ব্যাকগ্রাউন্ড আছে এবং নেতা থাকাকালীন দক্ষতা, সততা ও ত্যাগী তকমা আছে এমন নেতারা চলে এসেছেন দায়িত্বে। অর্থাৎ সাবেক সফল ছাত্রলীগ নেতাদের হাতেই উঠতে যাচ্ছে নেতৃত্বের দায়িত্ব। এরই মধ্যে নিজস্ব লোকজন ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য যাচাই-বাছাই করেছেন দলের প্রধান শেখ হাসিনা।
নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রক্রিয়া জানাতে গিয়ে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সততা, দৃঢ়তা, আদর্শের প্রতি বিশ্বাস, সর্বোপরি দুর্দিনে পার্টির প্রতি ডেডিকেশন, যারার বিতর্কিত হয়ন; এমন ক্লিন ইমেজের নেতা থেকে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
২০০৬ সালের ৩১ মে ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগরকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করে দুটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। উত্তরের সভাপতি নির্বাচিত হন মোবাশ্বের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হন ফরিদুর রহমান খান ইরান। দক্ষিণের সভাপতি নির্বাচিত হন দেবাশীষ বিশ্বাস। সাধারণ সম্পাদক হন আরিফুর রহমান টিটু।