মেঘনার চরে আটকে পড়া লঞ্চ যাত্রীদের উদ্ধার

  • আপডেট: ০৮:৫৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৯

অনলাইন ডেস্ক:

মেঘনার চরে আটকে পড়া বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ‘এম ভি শাহরুখ-২’ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চের যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে একই মালিকের এমভি পূবালী-১ নামের অন্য একটি লঞ্চে তুলে দেওয়া হয় এম ভি শাহরুখ-২ এর যাত্রীদের। এরপর ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় এমভি পূবালী-১ লঞ্চটি।

লঞ্চটি  মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বরগুনা নৌবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দিবাগত রাত ৩টার দিকে নৌযানটি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জসংলগ্ন মেঘনা নদীর চরে আটকে যায়। আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২টা পর্যন্ত লঞ্চটি চরে আটকা ছিল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।

যাত্রীদের অভিযোগ, মেঘনার কালীগঞ্জ চ্যানেল অতিক্রমের সময় অদক্ষ চালক ডাঙায় তুলে দেন লঞ্চটির চালক। তারা বলেন, আট-নয় ঘণ্টা ধরে আটকা ছিলেন তারা। এমনকি তাঁরা কোথায় আছেন- সে হদিসও পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে যাত্রীরা সবাই গভীর উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন। এ সময় যাত্রীদের দুর্ভোগের সুযোগ নিয়ে লঞ্চের ক্যানটিনে খাবারের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ করে নেওয়া হয়।

কয়েক বছর ধরেই শীত মৌসুমে নিয়মিত নাব্যতা সংকট দেখা দিচ্ছে মেঘনা নদীতে। বিশেষ করে বরিশালের হিজলা উপজেলা ও চাঁদপুরের মধ্যবর্তী মেঘনার বিশাল অংশের নাব্য সংকট ‘মিয়ারচর’ চ্যানেলের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। নাব্যতা সংকট এত প্রকট হয়ে ওঠায় মিয়ারচর চ্যানেলকে নৌযান চলাচলের অনুপযোগী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)।

এ চ্যানেলকে অনুপযোগী ঘোষণার পর নৌযানগুলো বিকল্প পথ হিসেবে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ চ্যানেল ব্যবহার করছে। এ জন্য তাদের তিন দশমিক চার নটিক্যাল মাইল পথ বেশি পাড়ি দিতে হচ্ছে। অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় হচ্ছে অন্তত দেড় শ লিটার। কিন্তু বিকল্প এই চ্যানেলও এখন নাব্যতা সংকটে পড়েছে। ফলে প্রায় দিনেই যাত্রীবাহী নৌযান আটকা পড়ে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহান। আসছে শুষ্ক মৌসুমে এই সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

মেঘনার চরে আটকে পড়া লঞ্চ যাত্রীদের উদ্ধার

আপডেট: ০৮:৫৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

মেঘনার চরে আটকে পড়া বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ‘এম ভি শাহরুখ-২’ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চের যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে একই মালিকের এমভি পূবালী-১ নামের অন্য একটি লঞ্চে তুলে দেওয়া হয় এম ভি শাহরুখ-২ এর যাত্রীদের। এরপর ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় এমভি পূবালী-১ লঞ্চটি।

লঞ্চটি  মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বরগুনা নৌবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দিবাগত রাত ৩টার দিকে নৌযানটি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জসংলগ্ন মেঘনা নদীর চরে আটকে যায়। আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২টা পর্যন্ত লঞ্চটি চরে আটকা ছিল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।

যাত্রীদের অভিযোগ, মেঘনার কালীগঞ্জ চ্যানেল অতিক্রমের সময় অদক্ষ চালক ডাঙায় তুলে দেন লঞ্চটির চালক। তারা বলেন, আট-নয় ঘণ্টা ধরে আটকা ছিলেন তারা। এমনকি তাঁরা কোথায় আছেন- সে হদিসও পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে যাত্রীরা সবাই গভীর উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন। এ সময় যাত্রীদের দুর্ভোগের সুযোগ নিয়ে লঞ্চের ক্যানটিনে খাবারের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ করে নেওয়া হয়।

কয়েক বছর ধরেই শীত মৌসুমে নিয়মিত নাব্যতা সংকট দেখা দিচ্ছে মেঘনা নদীতে। বিশেষ করে বরিশালের হিজলা উপজেলা ও চাঁদপুরের মধ্যবর্তী মেঘনার বিশাল অংশের নাব্য সংকট ‘মিয়ারচর’ চ্যানেলের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। নাব্যতা সংকট এত প্রকট হয়ে ওঠায় মিয়ারচর চ্যানেলকে নৌযান চলাচলের অনুপযোগী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)।

এ চ্যানেলকে অনুপযোগী ঘোষণার পর নৌযানগুলো বিকল্প পথ হিসেবে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ চ্যানেল ব্যবহার করছে। এ জন্য তাদের তিন দশমিক চার নটিক্যাল মাইল পথ বেশি পাড়ি দিতে হচ্ছে। অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় হচ্ছে অন্তত দেড় শ লিটার। কিন্তু বিকল্প এই চ্যানেলও এখন নাব্যতা সংকটে পড়েছে। ফলে প্রায় দিনেই যাত্রীবাহী নৌযান আটকা পড়ে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহান। আসছে শুষ্ক মৌসুমে এই সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।