মতলবে অগ্নিদগ্ধে আহত সেই স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু

  • আপডেট: ০২:০৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৯

স্টাফ রিপোর্টার ।।

মতলব পৌর শহরের ভাঙ্গারপাড় এলাকায় অগ্নিদগ্ধে গুরুতর আহত বৈশাখী (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রী গত ৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে মারা গেছে।
পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, ভাঙ্গারপাড় এলাকার প্রধানীয়া বাড়ীর জাহাঙ্গীর প্রধানের মেয়ে ও মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী বৈশাখী গত ৩০ অক্টোবর বাড়ীর রান্না ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়। ঐ সময় অগ্নিদগ্ধে তার শরীরের প্রায় ৮৫ভাগ পুড়ে যায়। তাকে প্রথমে মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশংকাজনক অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। প্রায় ৬দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কাছে হার মেনে ওপারে চলে যায়।
নিহতের মা শেফালী বেগম জানান, শেফালীর বাবা দুই বছর পূর্বে সড়ক দূর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছে। আমি বিভিন্নভাবে কাজ কর্ম করে সংসার চালাচ্ছি। আমার এ মেয়েটা লেখাপড়ায় ভাল ছিল। আশা ছিল ও লেখাপড়া শেষ করে, চাকরি বাকরি করে আমাদের একটু দেখবে। এছাড়া ছোট ভাই বোনদের লেখাপড়ায় সহযোগিতা ছিল।
নিহত বৈশাখীর চাচা মোঃ শরীফ প্রধান বলেন, ওর মা ঐ সময় বাড়ীতে ছিল না। বাবাতো দুই বছর যাবৎ পঙ্গু হয়ে বিছানায় আছে। বাড়ীর লোকজন বৈশাখীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছিল। মায়ের অনুপস্থিতিতে পরিবারের কাজ করতে গিয়েই মেয়েটি দূর্ঘটনার শিকার হয়েছিল। ৩ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে বৈশাখী সবার বড়।
বৈশাখীর স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির হোসেন বলেন, মেয়েটি লেখাপড়ায় ভালই ছিল। আমরা তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতাম। এখন আর্থিকভাবে সহযোগিতার বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে  মঙ্গলবার ৫টার দিকে নিহতের লাশ বাড়ীতে পৌছে। রাতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

মতলবে অগ্নিদগ্ধে আহত সেই স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু

আপডেট: ০২:০৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার ।।

মতলব পৌর শহরের ভাঙ্গারপাড় এলাকায় অগ্নিদগ্ধে গুরুতর আহত বৈশাখী (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রী গত ৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে মারা গেছে।
পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, ভাঙ্গারপাড় এলাকার প্রধানীয়া বাড়ীর জাহাঙ্গীর প্রধানের মেয়ে ও মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী বৈশাখী গত ৩০ অক্টোবর বাড়ীর রান্না ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়। ঐ সময় অগ্নিদগ্ধে তার শরীরের প্রায় ৮৫ভাগ পুড়ে যায়। তাকে প্রথমে মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশংকাজনক অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। প্রায় ৬দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কাছে হার মেনে ওপারে চলে যায়।
নিহতের মা শেফালী বেগম জানান, শেফালীর বাবা দুই বছর পূর্বে সড়ক দূর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছে। আমি বিভিন্নভাবে কাজ কর্ম করে সংসার চালাচ্ছি। আমার এ মেয়েটা লেখাপড়ায় ভাল ছিল। আশা ছিল ও লেখাপড়া শেষ করে, চাকরি বাকরি করে আমাদের একটু দেখবে। এছাড়া ছোট ভাই বোনদের লেখাপড়ায় সহযোগিতা ছিল।
নিহত বৈশাখীর চাচা মোঃ শরীফ প্রধান বলেন, ওর মা ঐ সময় বাড়ীতে ছিল না। বাবাতো দুই বছর যাবৎ পঙ্গু হয়ে বিছানায় আছে। বাড়ীর লোকজন বৈশাখীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছিল। মায়ের অনুপস্থিতিতে পরিবারের কাজ করতে গিয়েই মেয়েটি দূর্ঘটনার শিকার হয়েছিল। ৩ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে বৈশাখী সবার বড়।
বৈশাখীর স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির হোসেন বলেন, মেয়েটি লেখাপড়ায় ভালই ছিল। আমরা তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতাম। এখন আর্থিকভাবে সহযোগিতার বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে  মঙ্গলবার ৫টার দিকে নিহতের লাশ বাড়ীতে পৌছে। রাতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।