শরীফুল ইসলাম:
জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান স্মরণে ৩ নভেম্বর রোববার জেল হত্যা দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলীয় কার্যালয়ে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সন্তোষ দাস, আব্দুর রশিদ সরদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল আমিন সরকার, তথ্য ও গভেষনা সম্পাদক অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার, দপ্তর সম্পাদক শাহআলম মিয়া, উপদেষ্টা ডা. বদরুন নহার চৌধুরী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা নুর খান, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এস এম সালাউদ্দিন, সদস্য অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরণ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম মিয়াজী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আজিজ খান বাদল, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মালেক শেখ, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হাসান লিটন, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফরিদা ইলিয়াস, জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি আতাউর রহমান পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক পারভেজ করিম বাবু।
সভায় বক্তারা বলেন, খুনি মোশতাক জিয়ার নির্দেশে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ক্ষান্ত না হয়ে ৩ নভেম্বর তারা জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় নির্মমভাবে হত্যা করে। এভাবে তারা ইতিহাস সৃষ্টি করে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে। এই সংঘবদ্ধ অপশক্তির দেশ বিরোধী ও দেশের উন্নয়নবিরোধী চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সবাইকে এগিয়ে আসবে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলার মাধ্যমে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
বক্তারা আরো বলেন, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা এই দেশের মানুষের স্বপ্নতে হত্যা করেছে। যারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত, তরাই সকল কাজে একই সুতয় গাঁথা। আজকে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা বেচে থাকলে বাংলাদেশ জাপানের চেয়েও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতো। বর্তমান সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা ১০ বছরে যেটা অর্জন করেছে, পৃথীবির ইতিহাসে তা কোন সরকার অর্জন করতে পারেনি।