ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টারের (আইডিএমসি) একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। এ সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি সাতজনে একজন হবে।
শনিবার ‘দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক খসড়া জাতীয় কৌশলপত্র ও নাগরিক সমাজের অভিমত’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু ওই গবেষণা নয়, বাংলাদেশ-সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা ও তথ্য প্রমাণে এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে নদীভাঙন ও বন্যার কারণে হাজার হাজার হেক্টর জমি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার কারণেই প্রধানত এ ধরনের বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, এসব বিষয় মাথায় রেখে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক খসড়া জাতীয় কৌশলপত্রটি প্রণয়নের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। কৌশলপত্রটি প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমরা বিশেষজ্ঞগণের সহায়তা নেব।
তিনি বলেন, এখন সারা বিশ্বে প্রায় ৫০টিরও বেশি দেশে সংঘাত বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে উচ্ছেদ এবং নিজ দেশে বাস্তুচ্যুতের ঘটনা ঘটছে। এ সংখ্যা প্রায় ৪০ দশমিক ৩ মিলিয়ন। এরই মধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় আরো অনেক মিলিয়ন লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আমাদের জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে।
সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শহিদুল হক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মহসীন, বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আতিক রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাসমিন সিদ্দিকী।