বিনোদন জগতের এক নক্ষত্র অভিনেতা মমতাজউদদীন আহমদ

  • আপডেট: ১১:১৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯
  • ১৪৯
পার্বতী দাস :

নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত কাল বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে অ্যাপোলো হাসপাতালে মমতাজউদ্দীন আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিটে অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।’

অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ বেশ কয়েক বছর ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মাঝে একাধিকবার তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি।

১৯৯৭ সালে নাট্যকার হিসেবে একুশে পদকে ভূষিত হন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি কলেজে ৩২ বছর বাংলা ভাষা সাহিত্য এবং বাংলা ও ইউরোপীয় নাট্য বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৭৬-৭৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন।

১৯৭৭-৮০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ছিলেন।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

মুন্সিরহাটে আগুনে পুড়েগেছে ১২ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

বিনোদন জগতের এক নক্ষত্র অভিনেতা মমতাজউদদীন আহমদ

আপডেট: ১১:১৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯
পার্বতী দাস :

নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত কাল বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে অ্যাপোলো হাসপাতালে মমতাজউদ্দীন আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিটে অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।’

অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ বেশ কয়েক বছর ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মাঝে একাধিকবার তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি।

১৯৯৭ সালে নাট্যকার হিসেবে একুশে পদকে ভূষিত হন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি কলেজে ৩২ বছর বাংলা ভাষা সাহিত্য এবং বাংলা ও ইউরোপীয় নাট্য বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৭৬-৭৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন।

১৯৭৭-৮০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ছিলেন।