সৎ মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নাই রাজনৈতিতে : কাদের

  • আপডেট: ১০:৩১:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯
  • ৫৭

অনলাইন ডেস্ক :

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহাসড়কে যানজটের কোনো খবর নাই। আপনাদের সাংবাদিকদের সহযোগিতায় বহুদিন পর এটা স্বস্তিদায়ক জায়গায় এসেছে। শুধু ঈদ নয়, সারাবছরই এমন স্বস্তিদায়ক রাস্তা থাকবে এটা জনগণ আশা করে। আমি শারিরীকভাবে পুরোপুরি সুস্থ্য নই। তারপরও অধিদফতর ও দফতরগুলোতে গিয়ে মিটিং করেছি যাতে এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হয়।

সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি এবার দুটি টার্মিনালে গিয়েছি সেখানে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ আছে। সেখানে মালিকদের একটা কথা আছে। সেটা হলো তারা যাওয়ার পথে যাত্রী পায়, আবার আসার পথে খালি আসে। আমি বলেছি সারা বছরতো ইনকাম করেন এখন একটু ইনকাম কম করেন। দেখা যাক কী হয়।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের সব কথায় কাজ হয় না। এমন হলে তো বাংলাদেশটা অনেক দূর এগিয়ে যেত। এদেশে সততার সঙ্গে কাজ করা একটা চ্যালেঞ্জ। সত্য কথা আমরা কত লোকই বলি। রাজনীতিতে সৎ মানুষের সংখ্যা খুব বেশি না। সবাই সৎ হলে দেশের চেহারাটা চেঞ্জ হয়ে যেত। আমি সিঙ্গাপুরে দেখেছি সেখানে সুন্দর করে দেশটা সাজিয়েছে। আমাদের এখানে পরিকল্পনা ভাল, শৃঙ্খলা কম। পরিবহনেও শৃঙ্খলা নেই, সড়কেও শৃঙ্খলা নেই। আমাদের বড় সংকট হচ্ছে শৃঙ্খলার। আমাদের শৃঙ্খলা যদি আনতে পারি তাহলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, টোকিও এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের নয়াদিল্লিতেও দেখেছি গাড়িতে গাড়িতে টোকাটুকি অনেক কম। আমার এখানে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। সাংবাদিকদেরও দায়িত্ব আছে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

ঢাকার যানজট নিরসন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটিতে আমাদের যানজট নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি ঈদের পরেই মেয়রদের সঙ্গে মিটিং করবো। বছরের পর বছর ধরে ঢাকা শহরে বিশৃঙ্খলা চলছে। এখানে আমাদেরও কিছু পরিকল্পনা আছে। দিস্তার পর দিস্তা কাগজ আমরা পরিকল্পনায় নষ্ট করেছি। এখন আমরা কিছু এনিশিয়েটিভ নিব।

তিনি বলেন, বিআরটিসির নতুন গাড়ীগুলো আমাদের জনগণের দূরপাল্লায় যাতায়াতে ভাল ভূমিকা রেখেছে। হিমাচল পরিবহন প্রতি বছরই অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য একটি অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান। আমি বিআরটিএকে বলেছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। বগুড়ার শাহ ফতেহ আলী পরিবহন এবং হানিফ পরিবহনকে আমরা জরিমানা করেছি। এতে বুঝা যায় তাদেরকে বারবার বলার পরেও তারা ভাল ব্যবস্থা নেয়নি।

বাস মালিকদের কাছে কি সরকার পরাজিত? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা জয় পরাজয়ের বিষয় নয়। এটা মানসিকতার বিষয়। আমরা বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখছি। আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণের বিয়টি যাতে বাস্তবে যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় সে বিষয়ে আমরা দেখছি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ফরিদগঞ্জে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু

সৎ মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নাই রাজনৈতিতে : কাদের

আপডেট: ১০:৩১:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক :

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহাসড়কে যানজটের কোনো খবর নাই। আপনাদের সাংবাদিকদের সহযোগিতায় বহুদিন পর এটা স্বস্তিদায়ক জায়গায় এসেছে। শুধু ঈদ নয়, সারাবছরই এমন স্বস্তিদায়ক রাস্তা থাকবে এটা জনগণ আশা করে। আমি শারিরীকভাবে পুরোপুরি সুস্থ্য নই। তারপরও অধিদফতর ও দফতরগুলোতে গিয়ে মিটিং করেছি যাতে এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হয়।

সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি এবার দুটি টার্মিনালে গিয়েছি সেখানে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ আছে। সেখানে মালিকদের একটা কথা আছে। সেটা হলো তারা যাওয়ার পথে যাত্রী পায়, আবার আসার পথে খালি আসে। আমি বলেছি সারা বছরতো ইনকাম করেন এখন একটু ইনকাম কম করেন। দেখা যাক কী হয়।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের সব কথায় কাজ হয় না। এমন হলে তো বাংলাদেশটা অনেক দূর এগিয়ে যেত। এদেশে সততার সঙ্গে কাজ করা একটা চ্যালেঞ্জ। সত্য কথা আমরা কত লোকই বলি। রাজনীতিতে সৎ মানুষের সংখ্যা খুব বেশি না। সবাই সৎ হলে দেশের চেহারাটা চেঞ্জ হয়ে যেত। আমি সিঙ্গাপুরে দেখেছি সেখানে সুন্দর করে দেশটা সাজিয়েছে। আমাদের এখানে পরিকল্পনা ভাল, শৃঙ্খলা কম। পরিবহনেও শৃঙ্খলা নেই, সড়কেও শৃঙ্খলা নেই। আমাদের বড় সংকট হচ্ছে শৃঙ্খলার। আমাদের শৃঙ্খলা যদি আনতে পারি তাহলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, টোকিও এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের নয়াদিল্লিতেও দেখেছি গাড়িতে গাড়িতে টোকাটুকি অনেক কম। আমার এখানে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। সাংবাদিকদেরও দায়িত্ব আছে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

ঢাকার যানজট নিরসন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটিতে আমাদের যানজট নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি ঈদের পরেই মেয়রদের সঙ্গে মিটিং করবো। বছরের পর বছর ধরে ঢাকা শহরে বিশৃঙ্খলা চলছে। এখানে আমাদেরও কিছু পরিকল্পনা আছে। দিস্তার পর দিস্তা কাগজ আমরা পরিকল্পনায় নষ্ট করেছি। এখন আমরা কিছু এনিশিয়েটিভ নিব।

তিনি বলেন, বিআরটিসির নতুন গাড়ীগুলো আমাদের জনগণের দূরপাল্লায় যাতায়াতে ভাল ভূমিকা রেখেছে। হিমাচল পরিবহন প্রতি বছরই অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য একটি অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান। আমি বিআরটিএকে বলেছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। বগুড়ার শাহ ফতেহ আলী পরিবহন এবং হানিফ পরিবহনকে আমরা জরিমানা করেছি। এতে বুঝা যায় তাদেরকে বারবার বলার পরেও তারা ভাল ব্যবস্থা নেয়নি।

বাস মালিকদের কাছে কি সরকার পরাজিত? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা জয় পরাজয়ের বিষয় নয়। এটা মানসিকতার বিষয়। আমরা বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখছি। আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণের বিয়টি যাতে বাস্তবে যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় সে বিষয়ে আমরা দেখছি।