নাড়ীর টানে বাড়ির পথে

  • আপডেট: ১০:২১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯
  • ১০৬

অনলাইন ডেস্ক:

জন্মের জায়গা, জন্মস্থান প্রতিটির সঙ্গে মানুষের নাড়ির যোগ রয়েছে। আত্মার স্পর্শ আছে। এটা একজন মানুষ আজীবন বহন করে বেড়ায়। বাড়ি মানেই তো শৈশব, কৈশোর, গাছপালা, সবুজ মাঠ, মা-বাবা, ভাই-বোন, নদী, পুকুর— এসব জড়িয়েই তো বাড়ি। বাড়ি ফেরা মানে, মানুষের তার আপন লোকদের মাঝে ফিরে যাওয়া। যাদের সঙ্গে ভদ্রতা, কৃত্রিম আনুষ্ঠানিকতার পরিচয় নয়— তাদের সঙ্গে প্রাণের সম্পর্ক। সেই সান্নিধ্যের মধ্যে, মানুষের উষ্ণতার মধ্যে ফিরে যাওয়া। ‘ভাইয়ের মায়ের এমন স্নেহ কোথায় গেলে পাবে কেহ’— সে তো এই বাড়িতেই!

ঈদের ছুটি। বাড়ি ফিরছে মানুষ। কাঁধে ব্যাগ, সঙ্গে পরিবার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে, টার্মিনালে আটকে থেকে বাড়ির পানে ছোটা। ক্লান্তি নেই তাতে এতটুকু! কিসের টানে ঈদে এত কষ্ট করে বাড়ি ফেরে মানুষ? এত যানজট ঠেলে, বেশি ভাড়া গুণে, পথের কষ্টকে তুচ্ছ জ্ঞান করে নিজের জন্মভিটায় মা-বাবা বা আত্মীয়ের সান্নিধ্য পাবার এই টান কেন?

মানুষ কেন সুযোগ পেলে, ছুটি পেলে, মন খারাপ হলে বা আনন্দের জানান দিতে বাড়ির পানে ছোটে? এই বাড়ি কোনো শহরের দমবন্ধ করা চার দেওয়ালের ঘর নয়। এ হলো পূর্বপুরুষের ভিটা বা জন্মস্থান। নাড়ির টান কিংবা মাটির টান বিষয়টা কী? কেন আমরা এই অমোঘ টানের নিয়ন্ত্রণে? মানুষ তার স্নায়ুতন্ত্রে কেন এই তীব্র টান অনুভব করে?

মনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই টান মানুষের মজ্জাগত। মানুষের জেনেটিক কোডে এটি সংরক্ষিত রয়েছে। আবার বুদ্ধিজীবীদের অভিমত, কৃষিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের মধ্যে মাটির প্রতি, শেকড়ের প্রতি টান থাকবে— এটাই স্বাভাবিক। শহরকেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থায় এই টান দেখা যায় না। তারা এ ধরনের বড় ছুটিতে দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে যায়।

কবির ভাষায়: ‘আজ আর আমার শহরের এই অন্ধ ফুটপাতের কাছে,/ এই সব মুখোশ-পরা মুখের কাছে কিছুই চাওয়ার নেই;/ দাঁত আর নখের গর্বে যারা মত্ত তারা কেন/ আমার জন্য কখনো চোখের জল ফেলতে যাবে?/ তোমরা যারা ডোবা-বিল খেতখামারের লকলকে ঘাসের মধ্যে ডুবে আছ,/ তোমরা যারা গায়ে মাখ পাকা ধানের গন্ধ,/ তাদের বলি, আমার জন্য রেখে দিয়ো একফোঁটা অশ্রু। (রেখে দিয়ো, মহাদেব সাহা)

যেখানে একজন মানুষের জন্ম-শৈশব কেটেছে, পরিবার, পূর্ব পুরুষের ধারাবাহিক বসবাস রয়েছে- তার একটা আকর্ষণ রয়েছে মানুষের কাছে। একটি বাড়ি, কয়েকজন মানুষ, সেই মানুষগুলোকে ঘিরে তার অস্তিত্ব, যে দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের দিকে তাকিয়ে তার শৈশবের কল্পনা বিস্তার ঘটেছিল, যেখানে তরুণ বয়সের স্বপ্নগুলো পাখা মেলেছিল, যে গ্রাম, শহরে বা পাড়ায় একজন মানুষের সেই স্বপ্নগুলোকে সত্যি করে তুলবার শক্তি যুগিয়েছে— সেখানে ফিরতে মন টানে। সেখানে ফিরে গেলে যেন ফেলে আসা সেই শৈশব, স্মৃতিময় দিনগুলোতে ফিরে যাবার একটা অনুভূতি ফিরে আসে।

প্রয়োজনের তাগিদে, চাকরি বা ব্যবসার কারণে একজন মানুষ যেখানে থাকে সেখানে হয়তো সে একজন নগণ্য ব্যক্তি কিন্তু নিজের গণ্ডিতে সেই ব্যক্তিই হয়ে ওঠেন বিশেষ একজন। সেখানে তার আশ্রয়। সে আশ্রয় মনের, আত্মিক আশ্রয়। রয়েছে অকপটভাবে নিজেকে প্রকাশের সাবলীল পরিবেশ। অসহায় মুহূর্তে বাড়িই যেন আমাদের কাছে শেষ আশ্রয়স্থল।

ঈদ এলেই মানুষের বাড়ির টানের তীব্রতা চোখে ধরা পড়ে বেশি। সীমাহীন যানজট উজিয়ে, বেশি ভাড়া গুণে, পথের নিদারুণ কষ্ট সহ্য করে তারা ফিরতে চায় তার ফেলে আসা স্মৃতিগন্ধমাখা বাড়িতে। মনের কোণে বারবার হাতছানি দেয় সেই মেঠো পথ, জমির আল ধরে ধানখেতের মাঝ দিয়ে হেঁটে যাওয়া, সবুজ গাছের সারি, নদীর পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি আর দল বেঁধে মাছ ধরার স্মৃতিময় দিনগুলো। বিজলি বাতিহীন গ্রামের পথে রাতের তারার আলোয় পথচলা, দূর গ্রাম থেকে দল বেঁধে যাত্রা দেখে ফেরার দিনগুলো বিদ্যুত্ চমকের মতো হিল্লোল তোলে শরীরে, মনে।

সমাজবিদরা বলছেন, বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক সমাজ। কৃষি সভ্যতার কারণে এখানকার মানুষের মাঝে এই মাটির টান। উন্নত দেশে যারা নগরকেন্দ্রিক জীবনযাপন করে তাদের মাঝে এই টান দেখা যায় না। ছুটিতে তারা পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে যায় কোনো পর্যটন কেন্দ্রে; কিন্তু কৃষিভিত্তিক সমাজে মানুষের সাংস্কৃতিক গতিধারা তৈরি হয় মাটিকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশের মানুষের মাঝে তাই জন্মভিটায় ফেরার এই তীব্র টান দেখা যায়।

কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহিত কামাল বললেন, মানুষের নাড়ির ভেতরের এই টান জমা থাকে। মা-বাবা, প্রিয়জন ও জন্মভিটার প্রতি এই টান মানুষের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। এটা তার মোটিভেশনাল ফোর্স গাইডেড বাই জেনেটিক কোড। তিনি বলেন, মানুষ সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে নিজেকে। মা-বাবার বংশগতির ধারা সন্তান বহন করে। তাই মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনের প্রতি মানুষের টান সহজাত। সে কারণেই ঈদের ছুটিতে বাড়িতে ফেরার এই টান চোখে পড়ে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলিয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. দিলরুবা আফরোজ বলেন, বাঙালিরা চারিত্রিক দিক থেকে খুব আবেগপ্রবণ হয়। সে কারণে যেখানে হূদয়ের টান অনুভব করে সেই কাজটি করবার জন্য মনের তীব্রতা বেড়ে যায় তার। এই শেকড়ের টান হচ্ছে নিখাদ আবেগীয় টান। তারাই বাড়ি যেতে চায় যাদের স্বজনরা এখনো বাড়িতে রয়েছেন। যাদের ভালোবাসার টান খুব তীব্র। কারণ যেখানে সে কাজের প্রয়োজনে বাস করছে সেটা সেই মানুষটির নিজের বা তার পূর্ব-পুরুষের জন্মস্থান বা বংশপরম্পরায় বেড়ে ওঠার স্থান নয় বলে সেই জায়গার প্রতি তার টান জন্মায় না। তার হূদয়ে দাগ কেটে থাকে সেই স্থান যেখানে তার স্বজনদের স্মৃতির দাগ লেগে রয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী’র সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম

নাড়ীর টানে বাড়ির পথে

আপডেট: ১০:২১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

জন্মের জায়গা, জন্মস্থান প্রতিটির সঙ্গে মানুষের নাড়ির যোগ রয়েছে। আত্মার স্পর্শ আছে। এটা একজন মানুষ আজীবন বহন করে বেড়ায়। বাড়ি মানেই তো শৈশব, কৈশোর, গাছপালা, সবুজ মাঠ, মা-বাবা, ভাই-বোন, নদী, পুকুর— এসব জড়িয়েই তো বাড়ি। বাড়ি ফেরা মানে, মানুষের তার আপন লোকদের মাঝে ফিরে যাওয়া। যাদের সঙ্গে ভদ্রতা, কৃত্রিম আনুষ্ঠানিকতার পরিচয় নয়— তাদের সঙ্গে প্রাণের সম্পর্ক। সেই সান্নিধ্যের মধ্যে, মানুষের উষ্ণতার মধ্যে ফিরে যাওয়া। ‘ভাইয়ের মায়ের এমন স্নেহ কোথায় গেলে পাবে কেহ’— সে তো এই বাড়িতেই!

ঈদের ছুটি। বাড়ি ফিরছে মানুষ। কাঁধে ব্যাগ, সঙ্গে পরিবার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে, টার্মিনালে আটকে থেকে বাড়ির পানে ছোটা। ক্লান্তি নেই তাতে এতটুকু! কিসের টানে ঈদে এত কষ্ট করে বাড়ি ফেরে মানুষ? এত যানজট ঠেলে, বেশি ভাড়া গুণে, পথের কষ্টকে তুচ্ছ জ্ঞান করে নিজের জন্মভিটায় মা-বাবা বা আত্মীয়ের সান্নিধ্য পাবার এই টান কেন?

মানুষ কেন সুযোগ পেলে, ছুটি পেলে, মন খারাপ হলে বা আনন্দের জানান দিতে বাড়ির পানে ছোটে? এই বাড়ি কোনো শহরের দমবন্ধ করা চার দেওয়ালের ঘর নয়। এ হলো পূর্বপুরুষের ভিটা বা জন্মস্থান। নাড়ির টান কিংবা মাটির টান বিষয়টা কী? কেন আমরা এই অমোঘ টানের নিয়ন্ত্রণে? মানুষ তার স্নায়ুতন্ত্রে কেন এই তীব্র টান অনুভব করে?

মনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই টান মানুষের মজ্জাগত। মানুষের জেনেটিক কোডে এটি সংরক্ষিত রয়েছে। আবার বুদ্ধিজীবীদের অভিমত, কৃষিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের মধ্যে মাটির প্রতি, শেকড়ের প্রতি টান থাকবে— এটাই স্বাভাবিক। শহরকেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থায় এই টান দেখা যায় না। তারা এ ধরনের বড় ছুটিতে দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে যায়।

কবির ভাষায়: ‘আজ আর আমার শহরের এই অন্ধ ফুটপাতের কাছে,/ এই সব মুখোশ-পরা মুখের কাছে কিছুই চাওয়ার নেই;/ দাঁত আর নখের গর্বে যারা মত্ত তারা কেন/ আমার জন্য কখনো চোখের জল ফেলতে যাবে?/ তোমরা যারা ডোবা-বিল খেতখামারের লকলকে ঘাসের মধ্যে ডুবে আছ,/ তোমরা যারা গায়ে মাখ পাকা ধানের গন্ধ,/ তাদের বলি, আমার জন্য রেখে দিয়ো একফোঁটা অশ্রু। (রেখে দিয়ো, মহাদেব সাহা)

যেখানে একজন মানুষের জন্ম-শৈশব কেটেছে, পরিবার, পূর্ব পুরুষের ধারাবাহিক বসবাস রয়েছে- তার একটা আকর্ষণ রয়েছে মানুষের কাছে। একটি বাড়ি, কয়েকজন মানুষ, সেই মানুষগুলোকে ঘিরে তার অস্তিত্ব, যে দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের দিকে তাকিয়ে তার শৈশবের কল্পনা বিস্তার ঘটেছিল, যেখানে তরুণ বয়সের স্বপ্নগুলো পাখা মেলেছিল, যে গ্রাম, শহরে বা পাড়ায় একজন মানুষের সেই স্বপ্নগুলোকে সত্যি করে তুলবার শক্তি যুগিয়েছে— সেখানে ফিরতে মন টানে। সেখানে ফিরে গেলে যেন ফেলে আসা সেই শৈশব, স্মৃতিময় দিনগুলোতে ফিরে যাবার একটা অনুভূতি ফিরে আসে।

প্রয়োজনের তাগিদে, চাকরি বা ব্যবসার কারণে একজন মানুষ যেখানে থাকে সেখানে হয়তো সে একজন নগণ্য ব্যক্তি কিন্তু নিজের গণ্ডিতে সেই ব্যক্তিই হয়ে ওঠেন বিশেষ একজন। সেখানে তার আশ্রয়। সে আশ্রয় মনের, আত্মিক আশ্রয়। রয়েছে অকপটভাবে নিজেকে প্রকাশের সাবলীল পরিবেশ। অসহায় মুহূর্তে বাড়িই যেন আমাদের কাছে শেষ আশ্রয়স্থল।

ঈদ এলেই মানুষের বাড়ির টানের তীব্রতা চোখে ধরা পড়ে বেশি। সীমাহীন যানজট উজিয়ে, বেশি ভাড়া গুণে, পথের নিদারুণ কষ্ট সহ্য করে তারা ফিরতে চায় তার ফেলে আসা স্মৃতিগন্ধমাখা বাড়িতে। মনের কোণে বারবার হাতছানি দেয় সেই মেঠো পথ, জমির আল ধরে ধানখেতের মাঝ দিয়ে হেঁটে যাওয়া, সবুজ গাছের সারি, নদীর পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি আর দল বেঁধে মাছ ধরার স্মৃতিময় দিনগুলো। বিজলি বাতিহীন গ্রামের পথে রাতের তারার আলোয় পথচলা, দূর গ্রাম থেকে দল বেঁধে যাত্রা দেখে ফেরার দিনগুলো বিদ্যুত্ চমকের মতো হিল্লোল তোলে শরীরে, মনে।

সমাজবিদরা বলছেন, বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক সমাজ। কৃষি সভ্যতার কারণে এখানকার মানুষের মাঝে এই মাটির টান। উন্নত দেশে যারা নগরকেন্দ্রিক জীবনযাপন করে তাদের মাঝে এই টান দেখা যায় না। ছুটিতে তারা পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে যায় কোনো পর্যটন কেন্দ্রে; কিন্তু কৃষিভিত্তিক সমাজে মানুষের সাংস্কৃতিক গতিধারা তৈরি হয় মাটিকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশের মানুষের মাঝে তাই জন্মভিটায় ফেরার এই তীব্র টান দেখা যায়।

কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহিত কামাল বললেন, মানুষের নাড়ির ভেতরের এই টান জমা থাকে। মা-বাবা, প্রিয়জন ও জন্মভিটার প্রতি এই টান মানুষের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। এটা তার মোটিভেশনাল ফোর্স গাইডেড বাই জেনেটিক কোড। তিনি বলেন, মানুষ সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে নিজেকে। মা-বাবার বংশগতির ধারা সন্তান বহন করে। তাই মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনের প্রতি মানুষের টান সহজাত। সে কারণেই ঈদের ছুটিতে বাড়িতে ফেরার এই টান চোখে পড়ে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলিয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. দিলরুবা আফরোজ বলেন, বাঙালিরা চারিত্রিক দিক থেকে খুব আবেগপ্রবণ হয়। সে কারণে যেখানে হূদয়ের টান অনুভব করে সেই কাজটি করবার জন্য মনের তীব্রতা বেড়ে যায় তার। এই শেকড়ের টান হচ্ছে নিখাদ আবেগীয় টান। তারাই বাড়ি যেতে চায় যাদের স্বজনরা এখনো বাড়িতে রয়েছেন। যাদের ভালোবাসার টান খুব তীব্র। কারণ যেখানে সে কাজের প্রয়োজনে বাস করছে সেটা সেই মানুষটির নিজের বা তার পূর্ব-পুরুষের জন্মস্থান বা বংশপরম্পরায় বেড়ে ওঠার স্থান নয় বলে সেই জায়গার প্রতি তার টান জন্মায় না। তার হূদয়ে দাগ কেটে থাকে সেই স্থান যেখানে তার স্বজনদের স্মৃতির দাগ লেগে রয়েছে।