চাঁদপুর, ২৮ সেপ্টেম্বর, শনিবার:
চাঁদপুরে আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন মহিলা মাদ্রাসা। শহরে বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে কিছু নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামী সংগঠনের সদস্যরা মহিলা মাদ্রাসার দিয়ে চালাচ্ছে রমরমা বাণিজ্য।
চাঁদপুরে আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন মহিলা মাদ্রাসা। শহরে বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে কিছু নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামী সংগঠনের সদস্যরা মহিলা মাদ্রাসার দিয়ে চালাচ্ছে রমরমা বাণিজ্য।
চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী থেকে নির্যাতিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অনেক মাদ্রাসা থেকে শিশু শিক্ষার্থীদের নিখোঁজ হওয়ার ও পাচারের খবর পাওয়া গেছে। নির্যাতনের বিষয় কাউকে বলতে না পারায় অন্ধকারে রয়ে যাচ্ছে অজানা অনেক ঘটনা।তেমনি বাবুরহাট চেন্নাই সড়কে পাটোয়ারী ভিলার চতুর্থ তলা ভাড়া নিয়ে গড়ে উঠে দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসা। ওই মাদ্রাসার শিক্ষিকাকে জোরপূর্বক সিএনজি স্কুটারে উঠিয়ে পাচার করে নেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে মাদ্রাসার প্রধান মোজাম্মেল কারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ও উত্তেজনা বিরাজ করতে দেখা যায়।
দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা কল্যান্দী আমানুল্লাপুরের বাসিন্দা সিরাজ প্রধানের ছেলে মোজাম্মেল কারী প্রধানিয়ার মাদ্রাসার শিক্ষিকা কুলসুমা আক্তারকে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে সিএনজি স্কুটারের উঠিয়ে পাচার করার চেষ্টা করে।
শিক্ষিকা কুলসুমা আক্তার তার মাকে তাৎক্ষনিক ফোন করলে বিষয়টি মিথ্যা জানতে পেরে চলন্ত সিএনজি স্কুটার থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় এলাকাবাসী সহ কুলসুমার পরিবারবর্গ অভিযুক্ত মোজাম্মেল কারীকে নিয়ে সালিশিতে বসেন। মোজাম্মেল কারী ঘটনাটি ঘোলাটে দেখে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে এনে সালিশি বৈঠক পন্ড করে দেয়।এরপর থেকেই মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষিকা পাচার করেছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য মোজাম্মেল কারী ঢাকা যাত্রাবাড়ী একটি মাদ্রাসা থেকে পাশ করে এসে বাবুরহাটে দুই বছর যাবত এই মহিলা মাদ্রাসা দিয়েছে।
তার মাদ্রাসায় অনেক শিক্ষার্থী নির্যাতিত হয়েছে তারা ৪ দেওয়ালের মধ্যে বন্দি’ থাকায় অনেক ঘটনা অন্তরালে রয়েছে। তার মাদ্রাসায় শিক্ষিকা নিয়োগের দেওয়ার কথা বলে অনেক শিক্ষিকার সাথে অনৈতিক কার্যকলাপ করেছে। সর্বশেষ কুলসুমা নামের মেয়েকে তার মায়ের অসুস্থতার কথা বলে পাচারের সময় সে বুঝতে পেরে সে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যায়। তারপরেই ঘটনা জানাজানি হয়। মাত্র অষ্টম শ্রেণী পাস করা নাবালিকা শিক্ষিকাদের তার এই মাদ্রাসা পরিচালনা করছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী বলে দাবি করছেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক মোজাম্মেল কারী জানায়, ঘটনার দিন দুপুরে একটি নাম্বার থেকে ফোন করে জনৈক ব্যক্তি মামা পরিচয় দিয়ে বলেন কুলসুমার মা অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এই কথা শুনে তাকে বুঝতে না দিয়ে খবর দিয়ে এনে নিয়ে যাওয়ার পথের সে গাড়ি থেকে নেমে পড়ে।
মাদ্রাসা ৪৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, এদেরকে পাঁচজন মহিলা শিক্ষিকা পড়াশোনা করায় ও দেখাশোনা করেন। সকল শিক্ষিকা অষ্টম শ্রেণী পাস করার পর এখানে চাকরি করতে এসেছেন। ভালো মহিলা শিক্ষিকা না পাওয়ায় তাদেরকে দিয়ে এই মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী যে নারী পাচারের কথা বলছে তা সঠিক নয়।