ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘ যুদ্ধে জড়িয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে ইসরাইলি বাহিনী

ছবি-সংগৃহিত

গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতিরোধ টানেল মোকাবিলায় রীতিমত অসহায় হয়ে পড়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। সেখানে তাদের সামনে যে কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেই দিকেই ইঙ্গিত করেছেন ইসরাইলি সামরিক বিশ্লেষক আভি আশকেনাজি।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ টানেলের বিরুদ্ধে ইসরাইলি বাহিনীর তৎপরতাকে চামচ দিয়ে সমুদ্র সেঁচার মতো বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি গাজার যুদ্ধকে ইসরাইলি বাহিনীর জন্য একটি জটিল চ্যালেঞ্জ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।

সম্প্রতি ইহুদিবাদী সংবাদমাধ্যম মা’আরিভ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আভি বলেছেন, গাজায় এখনো হাজার হাজার সুড়ঙ্গ চিহ্নিত করা যায় নি। আপনি যেখানেই পা রাখবেন, সেখানেই একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে। প্রাথমিক অনুমানের বিপরীতে হামাস এখনো তাদের যুদ্ধ ক্ষমতা বজায় রেখেছে এবং তাদের বিশাল বাহিনী রয়েছে। রাফাহ এবং অন্যান্য এলাকায় হামাস শত শত কিংবা সম্ভবত আরও বেশি যোদ্ধাকে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে আল-মাওয়াসি এলাকায় স্থানান্তরিত করেছে।

ইসরাইলি এই বিশ্লেষক আরও বলেন, বাস্তবতা হলো- যুদ্ধটি বর্তমানে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর জন্য খুবই জটিল। এই সেনাবাহিনী এমন একটি বাহিনীর মুখোমুখি হচ্ছে, যারা গেরিলা যুদ্ধে পারদর্শী।

আশকেনাজির মতে, হামাস যোদ্ধারা সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে এসে গুলি চালিয়ে আবার হারিয়ে যায় এবং এ ঘটনা একই দিনে বহুবার ঘটে। এর জন্য (ইসরাইলি) সামরিক বাহিনীর সতর্কতা প্রয়োজন। কিন্তু প্রশ্ন হলো- তাদের পক্ষে কী সব সময় সজাগ এবং সতর্ক থাকা সম্ভব?

এর আগে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর রেডিও গাজা উপত্যকার যুদ্ধক্ষেত্রে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর রিজার্ভ সেনাদের যোগ দিতে অনীহা এবং সেনা ঘাটতির কথা উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাহ এলাকায় বর্তমানে উপস্থিত একমাত্র রিজার্ভ ব্রিগেড হলো ব্রিগেড ২০৫। বিভিন্ন অসুবিধার কারণে এই ব্রিগেডের মাত্র ৬০ শতাংশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। গাজা উপত্যকায় বৃহৎ আকারের সামরিক অভিযানে বিলম্বের কারণ হলো অভিযান চালানোর জন্য পর্যাপ্ত রিজার্ভ বাহিনী না থাকা।

আশকেনাজি বলেন, ইসরাইলি বাহিনী সৈন্যসংখ্যার ঘাটতিসহ অসংখ্য সমস্যার মুখোমুখি। সেনাবাহিনীর কাঁধে তাই বোঝা অনেক ভারি। এমনকি যদি তারা অভিযানে বৃহৎ বাহিনী পাঠাতে চায়, তবুও এই বিকল্পটি বিপজ্জনক। কারণ এতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরাইলি বাহিনীকে আরও তীব্রভাবে আক্রমণ করতে বাধ্য হবে। আর এ ঘটনা ইসরাইলি বন্দিদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলবে।

এদিকে ইসরাইলি টেলিভিশন চ্যানেল কেএএনও একই কথা বলেছে। সম্প্রতি এক ঘোষণায় চ্যানেলটি জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী বর্তমানে প্রবলভাবে সেনা ঘাটতির সম্মুখীন।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

সমকামিতার অভিযোগে চাঁদপুরে দুই কিশোরী পুলিশে সোপর্দ

দীর্ঘ যুদ্ধে জড়িয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে ইসরাইলি বাহিনী

আপডেট: ১২:০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতিরোধ টানেল মোকাবিলায় রীতিমত অসহায় হয়ে পড়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। সেখানে তাদের সামনে যে কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেই দিকেই ইঙ্গিত করেছেন ইসরাইলি সামরিক বিশ্লেষক আভি আশকেনাজি।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ টানেলের বিরুদ্ধে ইসরাইলি বাহিনীর তৎপরতাকে চামচ দিয়ে সমুদ্র সেঁচার মতো বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি গাজার যুদ্ধকে ইসরাইলি বাহিনীর জন্য একটি জটিল চ্যালেঞ্জ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।

সম্প্রতি ইহুদিবাদী সংবাদমাধ্যম মা’আরিভ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আভি বলেছেন, গাজায় এখনো হাজার হাজার সুড়ঙ্গ চিহ্নিত করা যায় নি। আপনি যেখানেই পা রাখবেন, সেখানেই একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে। প্রাথমিক অনুমানের বিপরীতে হামাস এখনো তাদের যুদ্ধ ক্ষমতা বজায় রেখেছে এবং তাদের বিশাল বাহিনী রয়েছে। রাফাহ এবং অন্যান্য এলাকায় হামাস শত শত কিংবা সম্ভবত আরও বেশি যোদ্ধাকে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে আল-মাওয়াসি এলাকায় স্থানান্তরিত করেছে।

ইসরাইলি এই বিশ্লেষক আরও বলেন, বাস্তবতা হলো- যুদ্ধটি বর্তমানে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর জন্য খুবই জটিল। এই সেনাবাহিনী এমন একটি বাহিনীর মুখোমুখি হচ্ছে, যারা গেরিলা যুদ্ধে পারদর্শী।

আশকেনাজির মতে, হামাস যোদ্ধারা সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে এসে গুলি চালিয়ে আবার হারিয়ে যায় এবং এ ঘটনা একই দিনে বহুবার ঘটে। এর জন্য (ইসরাইলি) সামরিক বাহিনীর সতর্কতা প্রয়োজন। কিন্তু প্রশ্ন হলো- তাদের পক্ষে কী সব সময় সজাগ এবং সতর্ক থাকা সম্ভব?

এর আগে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর রেডিও গাজা উপত্যকার যুদ্ধক্ষেত্রে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর রিজার্ভ সেনাদের যোগ দিতে অনীহা এবং সেনা ঘাটতির কথা উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাহ এলাকায় বর্তমানে উপস্থিত একমাত্র রিজার্ভ ব্রিগেড হলো ব্রিগেড ২০৫। বিভিন্ন অসুবিধার কারণে এই ব্রিগেডের মাত্র ৬০ শতাংশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। গাজা উপত্যকায় বৃহৎ আকারের সামরিক অভিযানে বিলম্বের কারণ হলো অভিযান চালানোর জন্য পর্যাপ্ত রিজার্ভ বাহিনী না থাকা।

আশকেনাজি বলেন, ইসরাইলি বাহিনী সৈন্যসংখ্যার ঘাটতিসহ অসংখ্য সমস্যার মুখোমুখি। সেনাবাহিনীর কাঁধে তাই বোঝা অনেক ভারি। এমনকি যদি তারা অভিযানে বৃহৎ বাহিনী পাঠাতে চায়, তবুও এই বিকল্পটি বিপজ্জনক। কারণ এতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরাইলি বাহিনীকে আরও তীব্রভাবে আক্রমণ করতে বাধ্য হবে। আর এ ঘটনা ইসরাইলি বন্দিদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলবে।

এদিকে ইসরাইলি টেলিভিশন চ্যানেল কেএএনও একই কথা বলেছে। সম্প্রতি এক ঘোষণায় চ্যানেলটি জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী বর্তমানে প্রবলভাবে সেনা ঘাটতির সম্মুখীন।