হাজীগঞ্জের বেলচোঁ বাজারে ১টি ডিগ্রি মাদরাসা, একট হাইস্কুল, প্রাইমারি স্কুলসহ ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কয়েকটি মৎস্য আড়ৎ। স্পীড ব্রেকার না থাকায় প্রতি মাসেই কয়েকটি দূর্ঘটনা ঘটে। ইতোপূর্বে এ বাজারে সড়ক দূর্ঘটনায় ৪জনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। অনেকে পঙ্গুত্বের জীবন যাপন করছে।
মানববন্ধন চলাকালে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের দুই পাশে প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ দূর্ভোগের কবলে পড়ে। বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে কোন স্পিড বেকার বা গতি প্রতিরোধক সাইনবোর্ড নির্মাণ বা স্থাপন না করায় ইতোপূর্বে বেলচোঁ বাজারে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা নিহত ও আহত হয়েছেন। আমরা বিষয়টি লিখিত ভাবে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে সড়কে নেমেছি।
দুপর ১২টার সময় হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বেলচোঁ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অহিদুল ইসলাম চৌধুরী মোহনের মুঠোফোনে কথা বলে স্পীড ব্রেকার নির্মাণের আশ^াস দিলে আন্দোলনকারীরা তাদের মানববন্ধন প্রত্যাহার করে নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হাজীগঞ্জ সেবা সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন নোমান, বেলচোঁ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অহিদুল ইসলাম চৌধুরী মোহন, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, যুগ্ম সম্পাদক হোসেন মিয়াজী, প্রচার সম্পাদক ফারুক হোসেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, শাহাদাত হোসেন সরকার, ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম প্রমূখ।