হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন থেকে জব্দকৃত ৮২ বস্তা সরকারি চাল নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে হাজীগঞ্জ থানার গোলঘরে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে প্রতি কেজি চাল ৩১ টাকা দরে বিক্রয় করা হয়। নিলামে ১২ জন অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে চাল ক্রয় করেন, মো. আব্দুল মতিন নামের এক ব্যক্তি।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক, নিলাম কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ আব্দুস সালাম, সদস্য হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সুজিত চন্দ্র দে ও সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল গণি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সড়ক ও জনপথ বিভাগের চাঁদপুরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হাজীগঞ্জ সড়ক উপ-বিভাগ) ওয়াছিউদ্দিন আহমেদ, হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান মাহমুদসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা, প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৪ জুন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরকারি চাল বসতবাড়িতে মজুদ করার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান, হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু কুমার দত্ত মিঠু ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌ. মো. জাকির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে গর্ন্ধব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দেশগাঁও মাইজের বাড়ি ও আটিয়া বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে কালুর বসতঘর থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের সিল-সংবলিত ২২ বস্তা ও জাহাঙ্গীরের বসতঘর থেকে ৬০ বস্তা সরকারি চালসহ মোট ৮২ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেন। এর মধ্যে প্রতিটি বস্তায় ৩০ কেজি করে মোট ২ হাজার ৮৬০ কেজি চাল রয়েছে। একই সময়ে কালুর বসতঘর থেকে ৮টি খালি বস্তা জব্দ এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের সম্পৃক্ততা না পাওয়া পরে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
চাল জব্দের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু, ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার (ইউপি সদস্য) আমির মুন্সী, দেশগাঁও গ্রামের পূর্ব আটিয়া বাড়ির মৃত সুজ্জত আলীর ছেলে আবুল খায়ের কালু ও একই গ্রামের মাইজের বাড়ির মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ নামীয় চারজন ও অজ্ঞাত ১/২ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ (মামলা) দায়ের করা হয়। মুলত, কালু ও জাহাঙ্গীরের বসতঘর থেকেই চালের বস্তাগুলো জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে গত ২৪ অক্টোবর চাঁদপুর দায়রা জজ আদালতের নির্দেশনায় (স্মারক নং- ৬৭৫৫) জব্দৃকত ৮২ বস্তা চাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নিলামে বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।