অনলাইন ডেস্ক:
ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার টানা ৬৫ দিন পর এবার উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার নদীতে জাল ফেললেই জেলেদের জালে ধরা পরছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। মহাজন ও বিভিন্ন সূত্র থেকে ঋণ নিয়ে জেলেরা মাছ ধরেন। এ অবস্থায় মাছের দাম ভালো থাকলে ঋণ পরিশোধে এ বছর জেলেদের সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন তারা। দেশের বিভিন্ন স্থানের জেলেরা দীর্ঘ অলস সময় কাটানোর পর এখন ইলিশ আহরণে ব্যস্ত।
অপরদিকে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়লেও ধাম কমছে না। সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরেই থেকে যাচ্ছে ইলিশের বাজার মূল্য। এতে করে ইলিশ আহরণকৃত জেলা ও উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ ইলিশ ক্রয় করতে পারছে না। স্থানীয়ভাবে মানুষ ইলিশ থেকে বঞ্চিত হলে ও বিভিন্ন জেলায় ঠিকই প্রতিদিন ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় ভাবে ইলিশের মূল্য বেশি কিন্তু রপ্তানির ক্ষেত্রে কম কেন? নাকি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন।
গত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কারণ এ সময়ে গভীর সাগর থেকে নদীর মোহনায় এসে ডিম দেয় মা ইলিশ।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরের নিষেধাজ্ঞার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন ছিল। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত টানা ৬৫ দিন ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞার পুরো ৬৫ দিনই বেকার সময় পার করতে হয়েছে জেলেদের। জেলেদের দাবি ছিল ডিম দেয়ার সঠিক সময় নির্ধারণ করে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আগের মতো ২২ দিন করার।
জেলেরা জানান, বর্তমানে নদীতে জাল ফেললেই ইলিশ মাছ উঠছে। বিভিন্ন স্থানে নদী ও সাগরের মোহনায় গেলে একেকটি বড় জেলে ট্রলারে প্রতিদিন ১০০-২০০ ইলিশ ধরা পড়ে; যা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। এভাবে মাছ ধরা পড়ায় মহাজন ও বিভিন্ন সূত্র থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করতে জেলেদের সমস্যা হবে না বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।