প্রেসবিজ্ঞপ্তি

হাজীগঞ্জে মাদরাসা ছাত্র সাইমন হত্যা মামলার আসামী ইকবাল র‌্যাবের হাতে আটক

র‌্যাবের হাতে আটক ইকবাল

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে চঞ্চল্যকর মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্র হাফেজ সাইমনকে (১৬) হত্যার দায়ে অন্যতম সন্দেহজনক আসামী মো. ইকবাল হোসেন সর্দারকে (৩০) আটক করেছে র‌্যাব-৭।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল হত্যা মামলার পলাতক আসামী মোঃ ইকবাল হোসেনকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন সিপিজেড এলাকা থেকে বুধবার (২ অক্টোবর) রাত পৌনে ৪টার সময় আটক করে।

আটক ইকবাল হোসেন হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন সর্দার বাড়ীর মৃত জিতু মিয়ার ছেলে।

আটক ইকবাল হোসেন সর্দার হাজীগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ছিলেন।

ইকবাল সহ এ মামলায় দুজনকে আটক করা হলো। এর পূর্বে পুলিশ টোরাগড় এলাকার ভুট্রো নামে একজনকে আটক করে।

গত গত ৮ আগস্ট জনভীতি সৃষ্টি ও পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক।

মাদরাসা ছাত্র সাইমন হত্যা মামলার বাদী নিহতের মামা সাইফুল ইসলাম তার আর্জিতে উল্লেখ করেন ভিকটিম সাইমন বাদীর ভাগিনা। গত-২০/০৯/২০২৪খ্রিঃ সন্ধ্যা অনুমান ১৭.০০ ঘটিকার সময় বাদীর ভাগিনা তাহাদের ভাড়া বাসা হইতে এশার নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথিমধ্যে ঘটনাস্থল

হাজীগঞ্জ থানাধীন মকিমাবাদ সাকিনস্থ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স সংলগ্ন কুমিল্লা টু চাঁদপুরগামী মহাসড়কের রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র হঠাৎ দেখতে পান যে, গ্রেফতার কৃত আসামী ইকবাল হোসেন সহ অন্যান্য বিবাদীরা হাতে লাঠিসোটা, দা, কিরিছ, হকস্টিক, ইট এবং কাচের বোতল দিয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হইয়া দুইপক্ষ দাঙ্গা হাঙ্গামায় লিপ্ত হয়ে বাজারে এলোপাথারী, দোকানপাট ভাংচুর ও মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে এবং বিভিন্ন পথচারীকে আক্রমন করতঃ দুষ্কৃতিকারীরা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাদীর ভাগিনা দৌড়াইয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় গ্রেফতারকৃত আসামিসহ অন্যান্য বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কোপাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা রক্তাক্ত জখম করিলে বাদীর ভাগিনা মাটিতে লুটাইয়া পড়ে।বাদীর ভাগিনার শোর চিৎকার শুনিয়া স্থানীয় অজ্ঞাতনামা লোকজন দ্রুত হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার বাদীর ভাগিনা ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখিতে পাইয়া কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার বাদীর ভাগিনা ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা আরো আশঙ্কা জনক দেখিতে পাইয়া ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১/০৯/২৪ ইং তারিখ রাত ২০.০০ ঘটিকার সময় বাদীর ভাগিনা ভিকটিম সাইমন (২০) কে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত বলিয়া ঘোষনা করেন।। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানায় ১৮৬০ সালের দন্ডবিধি আইনের ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং ১৪ তাং ২২/০৯/২০২৪.

উক্ত হত্যা মামলার এজাহার ও অধিযাচন পত্র থানা হতে প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে র‌্যাব-৭,সিপিএসসি কোম্পানি হত্যা মামলার তদন্তে সন্দিগ্ধ পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, সিপিএসসির চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামী মোঃ ইকবাল হোসেন (৩০) চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন সিপিজেড এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭,সিপিএসসির একটি আভিযানিক দল ০২ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ ১৫:৫০ ঘটিকার সময় বর্ণিত এলাকায় র‌্যাব-৭।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

অবশেষে কাজল ম্যানসন বুঝে পেলো প্রকৃত মালিক প্রবাসী মাহফুজ

প্রেসবিজ্ঞপ্তি

হাজীগঞ্জে মাদরাসা ছাত্র সাইমন হত্যা মামলার আসামী ইকবাল র‌্যাবের হাতে আটক

আপডেট: ০২:৪২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে চঞ্চল্যকর মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্র হাফেজ সাইমনকে (১৬) হত্যার দায়ে অন্যতম সন্দেহজনক আসামী মো. ইকবাল হোসেন সর্দারকে (৩০) আটক করেছে র‌্যাব-৭।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল হত্যা মামলার পলাতক আসামী মোঃ ইকবাল হোসেনকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন সিপিজেড এলাকা থেকে বুধবার (২ অক্টোবর) রাত পৌনে ৪টার সময় আটক করে।

আটক ইকবাল হোসেন হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন সর্দার বাড়ীর মৃত জিতু মিয়ার ছেলে।

আটক ইকবাল হোসেন সর্দার হাজীগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ছিলেন।

ইকবাল সহ এ মামলায় দুজনকে আটক করা হলো। এর পূর্বে পুলিশ টোরাগড় এলাকার ভুট্রো নামে একজনকে আটক করে।

গত গত ৮ আগস্ট জনভীতি সৃষ্টি ও পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক।

মাদরাসা ছাত্র সাইমন হত্যা মামলার বাদী নিহতের মামা সাইফুল ইসলাম তার আর্জিতে উল্লেখ করেন ভিকটিম সাইমন বাদীর ভাগিনা। গত-২০/০৯/২০২৪খ্রিঃ সন্ধ্যা অনুমান ১৭.০০ ঘটিকার সময় বাদীর ভাগিনা তাহাদের ভাড়া বাসা হইতে এশার নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথিমধ্যে ঘটনাস্থল

হাজীগঞ্জ থানাধীন মকিমাবাদ সাকিনস্থ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স সংলগ্ন কুমিল্লা টু চাঁদপুরগামী মহাসড়কের রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র হঠাৎ দেখতে পান যে, গ্রেফতার কৃত আসামী ইকবাল হোসেন সহ অন্যান্য বিবাদীরা হাতে লাঠিসোটা, দা, কিরিছ, হকস্টিক, ইট এবং কাচের বোতল দিয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হইয়া দুইপক্ষ দাঙ্গা হাঙ্গামায় লিপ্ত হয়ে বাজারে এলোপাথারী, দোকানপাট ভাংচুর ও মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে এবং বিভিন্ন পথচারীকে আক্রমন করতঃ দুষ্কৃতিকারীরা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাদীর ভাগিনা দৌড়াইয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় গ্রেফতারকৃত আসামিসহ অন্যান্য বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কোপাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা রক্তাক্ত জখম করিলে বাদীর ভাগিনা মাটিতে লুটাইয়া পড়ে।বাদীর ভাগিনার শোর চিৎকার শুনিয়া স্থানীয় অজ্ঞাতনামা লোকজন দ্রুত হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার বাদীর ভাগিনা ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখিতে পাইয়া কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার বাদীর ভাগিনা ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা আরো আশঙ্কা জনক দেখিতে পাইয়া ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১/০৯/২৪ ইং তারিখ রাত ২০.০০ ঘটিকার সময় বাদীর ভাগিনা ভিকটিম সাইমন (২০) কে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত বলিয়া ঘোষনা করেন।। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানায় ১৮৬০ সালের দন্ডবিধি আইনের ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং ১৪ তাং ২২/০৯/২০২৪.

উক্ত হত্যা মামলার এজাহার ও অধিযাচন পত্র থানা হতে প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে র‌্যাব-৭,সিপিএসসি কোম্পানি হত্যা মামলার তদন্তে সন্দিগ্ধ পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, সিপিএসসির চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামী মোঃ ইকবাল হোসেন (৩০) চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন সিপিজেড এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭,সিপিএসসির একটি আভিযানিক দল ০২ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ ১৫:৫০ ঘটিকার সময় বর্ণিত এলাকায় র‌্যাব-৭।