স্টাফ রিপোর্টারঃ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে কুপ্রস্তাব ও বিয়েতে রাজী না হওয়ায় জাহেদা আক্তার মিশু (২০) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক বখাটে। সোমবার ভোর সাড়ে ৬টায় উপজেলার রূপসা দক্ষিন ইউনিয়নের চরমুঘুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক সুজন খাঁন পলাতক রয়েছে। সুজনকে আটক করতে পুলিশ চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে।
নিহত জাহেদা আক্তার মিশুর স্বজন ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত জাহেদা আক্তার মিশু চরমগুয়া এলাকার সেকান্তর মেম্বারের বাড়ীর মৃত সেলিম বেপারীর(সাদ্দাম) মেয়ে। প্রায় বছর দেড়েক আগে সন্তোষপুর গ্রামের প্রবাসী সোহেলের সাথে মিশুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী প্রবাসে থাকায় জাহেদা আক্তার মিশু বাবার বাড়ীতে থাকতো। বাবার বাড়ীতে থাকা অবস্থায় পাশের বাড়ীর আবুল বাশারের ছেলে বখাটে সুজন খাঁন (২৮) শিশুকে তার বর্তমান স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল।
এছাড়াও বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতো। কিন্তু মিশু রাজী না হওয়ায় সোমবার ভোরে সুজন খাঁন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মিশুকে উপর্যপূরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় মিশুর আত্ম চিৎকারের শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিশুকে ঢাকায় রেফার করেন। পরে ঢাকা নেয়ার পথে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিশুর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ নিহতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত মিশুর চাচা আহসান উল্যাহ বলেন, বখাটে সুজন বেশির ভাগ সময়ই নেশাগ্রস্ত থাকতো। শেষ পর্যন্ত সুজন আমার ভাতিজীকে মেরেই ফেলল। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।তিনি জানান, মিশুর পিতা মৃত সেলিম বেপারীর(সাদ্দাম) ফরিদগঞ্জে মৃত্যুর পুর্বে পত্রিকা বিলিকারক ছিল।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ আব্দুর রকিব বখাটে সুজন কতৃক গৃহবধ মিশুুকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক সুজনের ছোট ভাই সোহেব খাঁনকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘাতক সুজনকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।