পাকিস্তানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে আয়োজিত জশনে জুলুছের ভয়াবহ শক্তিশালী বোমা হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছেন। আর নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বালুচিস্তানের পুলিশ। বোমা হামলার পর বিভিন্ন স্থানে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। চলছে উদ্ধার অভিযান।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বালুচিস্তানের মাসতাং বিভাগে জুম্মার নামাজ শেষে মিছিলের জন্য জড়ো হন মানুষ। তখনই এই ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর ডনের।
এর আগে বোমা হামলায় হতাহতের বিষয়টি ডনকে নিশ্চিত করেছেন নওয়াব ঘোস বখশ রাইসানি মেমোরিয়াল হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী ডাক্তার সাঈদ মিরওয়ানি। তিনি জানিয়েছেন, তার হাসপাতালে ২৮টি মরদেহ আনা হয়েছে। আর বাকি ছয়টি মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে মাসতাং বিভাগীয় হাসপাতালে।
অপরদিকে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি স্টেশন হাউজ অফিসার (এসএইচও) মোহাম্মদ জাভেদ লেহরি। তিনি আরও জানিয়েছেন, এটি একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা ছিল।
এর আগে মাসতাংয়ের সহকারী কমিশনার (এসি) আত্তাউল মুমিন প্রাথমিক অবস্থায় ১৫ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন।
সহকার কমিশনার আরও জানিয়েছিলেন, আলফালাহ সড়কের মদিনা মসজিদের কাছে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলের জন্য যখন মানুষ জড়ো হন তখনই বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি (যাচাই বিহীন) ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের পর রক্তমাখা মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। অনেকের শরীরের বিভিন্ন অংশ উড়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষ এ হামলাকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান একটি রাজনৈতিক দেউলিয়া দেশ। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীই মুলত পাকিস্তানের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীই জঙ্গীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে থাকে।
তবে পাকিস্তানের জশনে জুলুশে বোমা হামলা নিয়ে তত্ত্ববধায়ক সরকার এখনো কোন বিবৃতি দেয়নি।