হাজীগঞ্জে শিক্ষকদের পকেট কেটে টাকা নিচ্ছে সহকারি শিক্ষা অফিসারগণ

  • আপডেট: ০৯:২৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
  • ৩৭

ছবি-নতুনেরকথা।

স্টাফ রিপোর্টার:

হাজীগঞ্জে প্রাথমিকের শিক্ষকদের পকেট কেটে টাকা নিচ্ছে সহকারি শিক্ষা অফিসরগণ। দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ণ পরীক্ষায় প্রশ্ন দেয়ার নাম করে তারা বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার প্রায় ১১’শ শিক্ষকের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নিয়ে গতকাল রবিবার শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ চৌধুরীর সাথে দফায় দাফায় শিক্ষকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আজ সোমবার পুনরায় বসার কথা রয়েছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবু বকর জানান, আজ সোমবার থেকে উপজেলার ৭টি ক্লাস্টারে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ণ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১ সেট প্রশ্নের জন্য সহকারি শিক্ষা অফিসার নিচ্ছে ১০ টাকা। ৩য় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ১ সেট প্রশ্নের জন্য নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা। এটা জুলুম। এটা হতে পারেনা। তিনি বলেন, এর পূর্বেও পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু এমন জুলুম হয়নি।

সভাপতি বলেন, পরিপত্র জারি করা হয়েছে ¯িøপের টাকা থেকে প্রশ্নের টাকা দিতে হবে। কিন্তু ¯িøপের টাকাতো এখনো আসেনি। তাহলে টাকাগুলো আমাদের পকেট থেকেই দিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ২য় শ্রেণির প্রশ্ন প্রণয়ন করতে সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে ৫.৫০টাকা, নেয়া হচ্ছে ১০টাকা আর ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত খরচ হচ্ছে ১০ বা ১২ টাকা নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা।

বলিয়া, রামপুর ক্লাস্টারের কয়েকজন শিক্ষক জানান, সদর ক্লাস্টারের সহকারি শিক্ষা অফিসার যদি ৬ টাকা আর ১২ টাকায় প্রশ্ন বাবদ খরচ নিতে পারে তাহলে অন্য ৬ ক্লাস্টার কেনো ১০ টাকা আর ২০ টাকা নেবে। এটা কি মগের মুল্লুক। তাদের দাবী কয়েকজন সহকারি শিক্ষাকর্মকর্তা টাকা ছাড়া কিছুই বুঝেনা। আমরা বিষয়টি উর্ধ্বনত কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

জানাযায়, হাজীগঞ্জে ১৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী আছে ২৫ হাজার ৬’শ ৮০জন। যদি শিক্ষার্থী প্রতি সহকারি শিক্ষাকর্মকর্তারা ১২ টাকা করে বেশী নেই। তাহলে প্রায় ৩ লক্ষ ৮ হাজার ১শ ৬০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।

বাকিলা ক্লাস্টারের সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, টাকা বেশী নেয়া হচ্ছে। কথাটি ঠিক নয়। আর টাকাতো কোন শিক্ষক পকেট থেকে দিচ্ছেনা। ¯িøপের টাকা থেকেই প্রশ্নের টাকা দিচ্ছে।
রান্ধুনীমুড়া ও রামপুর ক্লাস্টারের সহকারি শিক্ষা অফিসার মুঠোফোনে সাংবদিক পরিচয় শুনে, আমি মিটিংয়ে আছি বলে লাইন কেটে দেন।

পালিশারা ক্লাস্টারের সহকারি শিক্ষক আনিসুর রহমান জানান, আমাদের হাতে কোন কিছু নেই। শিক্ষকরাই প্রশ্ন করেছে। তারাই সব।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টির সাথে আমি সম্পৃক্ত নই। স্ব-স্ব ক্লাস্টার শিক্ষকদের সাথে মিলে প্রশ্ন প্রণয়ন করবে। যদি কোন রকম অনিয়ম হয়ে থাকে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

হাজীগঞ্জে শিক্ষকদের পকেট কেটে টাকা নিচ্ছে সহকারি শিক্ষা অফিসারগণ

আপডেট: ০৯:২৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার:

হাজীগঞ্জে প্রাথমিকের শিক্ষকদের পকেট কেটে টাকা নিচ্ছে সহকারি শিক্ষা অফিসরগণ। দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ণ পরীক্ষায় প্রশ্ন দেয়ার নাম করে তারা বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার প্রায় ১১’শ শিক্ষকের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নিয়ে গতকাল রবিবার শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ চৌধুরীর সাথে দফায় দাফায় শিক্ষকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আজ সোমবার পুনরায় বসার কথা রয়েছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবু বকর জানান, আজ সোমবার থেকে উপজেলার ৭টি ক্লাস্টারে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ণ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১ সেট প্রশ্নের জন্য সহকারি শিক্ষা অফিসার নিচ্ছে ১০ টাকা। ৩য় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ১ সেট প্রশ্নের জন্য নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা। এটা জুলুম। এটা হতে পারেনা। তিনি বলেন, এর পূর্বেও পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু এমন জুলুম হয়নি।

সভাপতি বলেন, পরিপত্র জারি করা হয়েছে ¯িøপের টাকা থেকে প্রশ্নের টাকা দিতে হবে। কিন্তু ¯িøপের টাকাতো এখনো আসেনি। তাহলে টাকাগুলো আমাদের পকেট থেকেই দিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ২য় শ্রেণির প্রশ্ন প্রণয়ন করতে সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে ৫.৫০টাকা, নেয়া হচ্ছে ১০টাকা আর ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত খরচ হচ্ছে ১০ বা ১২ টাকা নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা।

বলিয়া, রামপুর ক্লাস্টারের কয়েকজন শিক্ষক জানান, সদর ক্লাস্টারের সহকারি শিক্ষা অফিসার যদি ৬ টাকা আর ১২ টাকায় প্রশ্ন বাবদ খরচ নিতে পারে তাহলে অন্য ৬ ক্লাস্টার কেনো ১০ টাকা আর ২০ টাকা নেবে। এটা কি মগের মুল্লুক। তাদের দাবী কয়েকজন সহকারি শিক্ষাকর্মকর্তা টাকা ছাড়া কিছুই বুঝেনা। আমরা বিষয়টি উর্ধ্বনত কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

জানাযায়, হাজীগঞ্জে ১৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী আছে ২৫ হাজার ৬’শ ৮০জন। যদি শিক্ষার্থী প্রতি সহকারি শিক্ষাকর্মকর্তারা ১২ টাকা করে বেশী নেই। তাহলে প্রায় ৩ লক্ষ ৮ হাজার ১শ ৬০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।

বাকিলা ক্লাস্টারের সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, টাকা বেশী নেয়া হচ্ছে। কথাটি ঠিক নয়। আর টাকাতো কোন শিক্ষক পকেট থেকে দিচ্ছেনা। ¯িøপের টাকা থেকেই প্রশ্নের টাকা দিচ্ছে।
রান্ধুনীমুড়া ও রামপুর ক্লাস্টারের সহকারি শিক্ষা অফিসার মুঠোফোনে সাংবদিক পরিচয় শুনে, আমি মিটিংয়ে আছি বলে লাইন কেটে দেন।

পালিশারা ক্লাস্টারের সহকারি শিক্ষক আনিসুর রহমান জানান, আমাদের হাতে কোন কিছু নেই। শিক্ষকরাই প্রশ্ন করেছে। তারাই সব।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টির সাথে আমি সম্পৃক্ত নই। স্ব-স্ব ক্লাস্টার শিক্ষকদের সাথে মিলে প্রশ্ন প্রণয়ন করবে। যদি কোন রকম অনিয়ম হয়ে থাকে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।