রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে এক হয় পশ্চিমা বিশ্বের সবগুলো দেশ। ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা থেকে শুরু করে সব দেয় তারা। রাশিয়ার জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্তও নেয় তারা। ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমারা যে এতটা ঐক্যবদ্ধ হবে, সেটি অনেকের কাছে অবাকের বিষয়।
তবে গণমাধ্যম সিএনএন কয়েকজন বিশ্লেষক ও পশ্চিমা কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমাদের এ ঐক্য ভেঙে যেতে পারে। কারণ সামনে আসছে ‘অনিশ্চয়তার শীত’। তাছাড়া খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি, ঘর উষ্ণ রাখার জন্য মাপা জ্বালানি এবং অর্থনৈতিক মন্দার বিষয়টিও আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পশ্চিমা কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পশ্চিমা নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি যে রকম সফল হয়েছিলেন, সেটি হয়ত তিনি সামনে পারবেন না। কারণ দ্বন্দ্ব দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
এ কারণেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি বলেছেন, আসন্ন বড় দিনের আগে যুদ্ধ শেষ করতে চান তারা। কারণ তিনি জানেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে পশ্চিমারা তার ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেবে।
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়ার গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়েছে, সেটিতে অনেক দেশ থাকতে পারবে না। তাছাড়া বিষয়টি তাদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইতিমধ্যেই বলেছেন, একটা সময় আলোচনার মাধ্যমেই এ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে হবে।
পশ্চিমা কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, যখন পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা দেখবেন ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো সাফল্য পাচ্ছে না। তখন আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধানের জন্য ইউক্রেনকে চাপ দেবেন তারা। কারণ তারাই প্রশ্ন করবে- যখন সাফল্য আসছে না তখন এতো দামি অস্ত্র দিয়ে লাভ কি?
ইউক্রেন শর্ত দিয়েছে আলোচনা করতে হলে ইউক্রেন থেকে আগে রাশিয়ার সব সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। যদি শেষ পর্যন্ত তাদের আলোচনার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো চাপ দেয় তাহলে এই শর্ত থেকে ইউক্রেনকে সরে আসতে হবে।
সূত্র: সিএনএন