নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
হাজীগঞ্জের ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের নওহাটা গ্রামে সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের নির্মাণ করা দেয়াল ভাংছুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হয়রানির শিকার হয়ে আসছে মসজিদের ইমাম ও তার পরিবার।
ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে জানা যায়, কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের নওহাটা সর্দার বাড়ির হাফেজ মাও. মাহবুব সর্দারের মালিকানাধীন জায়গায় নির্মাণ করা দেয়াল জোরপূর্বক ভাংছুরে করে একই গ্রামের মৃত আনোয়ারুল হকের ছেলে আমিনুল হক সর্দার। ৭ মে শনিবার বিকালে আমিনুল হক সর্দারের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫জন লাঠিয়াল বাহিনী দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ঢাকা গুলশান জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাও. মাহবুব সর্দারের নির্মাণাধীন দেয়াল ভাংছুর করে। এতে বাঁধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় মাহবুব সর্দা।
হাফেজ মাও. মাহবুব সর্দার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কতৃক পরিচালিত গুলশান জামে মসজিদের সহকারি ইমাম হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়ত মতাদর্শের অনুসারী এ ইমামকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির চেষ্টা করে আসছে আমিনুল হক সর্দার।
মাহবুব সর্দারের সম্পত্তি দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ করে একই বাড়ির আব্দুল মজিদ সর্দারের ছেলে আব্দুল হক সর্দার। এ নিয়ে বহু শালিস দরবার হয়। গ্রাম্য শালিসীদের সিদ্ধান্তে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হলে আব্দুল হক সর্দার তা অমান্য করে সীমানা অতিক্রম করে বিল্ডিং নির্মাণ করে।
এ দিকে সীমানা নির্ধারণে গ্রামের শালিসদারদের সহযোগিতায় তার সম্পত্তির উপর দেয়াল নির্মাণ করে। ৭ মে শনিবার বিকালে আব্দুল হক সর্দারের ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল আমিনুল হক সর্দার দলবল নিয়ে এ দেয়াল ভাংছুর করে। এতে বাঁধা দিতে গেলে আমিনুল হক সর্দার ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে হাফেজ মাহবুব সর্দার ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর।
এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ না নিতে পরিবারটিকে প্রকাশে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে আমিনুল হক সর্দার।
আমিনুল হক সর্দারের নওহাটা গ্রামের বহু অপকর্মের হোতা। তার বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, দখলবাজিসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়াও আমিনুল হক সর্দার এলাকায় পুলিশের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে এলাকার মানুষকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে আমিনুল হক সর্দারের মুঠোফোনে কল দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।