নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরে যেতে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে রাজধানীমুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সিডিউলের লঞ্চগুলো পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের উদ্দেশ্যে চাঁদপুর লঞ্চঘাট ত্যাগ করছে। চাঁদপুর-ঢাকা, চাঁদপুর-নারায়নগঞ্জের মধ্যে চলাচলকারী নিয়মিত লঞ্চ ছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে প্রশাসন।
শনিবার দুপুরে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখাগেছে জেলার ৮ উপজেলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ট্রলারে আসা শরীয়তপুরের বহু সংখ্যক যাত্রী ঘাটের পন্টুনে অবস্থান করছে। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিআইডাব্লিউটিএর কর্মকর্তাগণ।
রায়পুর থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী রায়হান বলেন, ঈদুল ফিতর উদযাপন করার জন্য বাড়িতে এসেছি। পরিবারের সাথে ঈদের সময়টা ভাল কেটেছে। এখন কর্মস্থলে নিরাপদে যাওয়ার চিন্তায় আছি।
হাজীগঞ্জ উপজেলার আরেক যাত্রী মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে গত দুবছর ঈদে বাড়িতে আসতে পারেনি। এ বছর ঈদের আগেই বাড়িতে এসেছি। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বাবা-মার সাথে অনেক আনন্দ করেছি। বিশেষ করে শিশুরা বাড়িতে এসে খুবই মজা করেছে। এখন কর্মস্থলে ভালভাবে যাওয়ার প্রত্যাশা।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকেই ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। লঞ্চঘাটে আমাদের পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত খুবই শান্তি শৃঙখলার মধ্যে যাত্রীরা যেতে পারছে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বিআইডাব্লিউটিএ, প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি যাত্রীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক লঞ্চ রয়েছে। যাত্রী সাধারণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তবে কিছু যাত্রী সাধারণের অসহযোগিতার কারণে ব্যবস্থাপনায় কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। তারা আমাদেরকে সহযোগিতা করলে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে কোন ধরণের সমস্যাই হবে না।
তিনি আরো বলেন, শনিবার ভোর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সদরঘাটের উদ্দেশ্যে চাঁদপুর ঘাট ত্যাগ করেছে ১২টি লঞ্চ। নারায়নগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ১০টি। মধ্যরাত পর্যন্ত লঞ্চ নির্গমন অব্যাহত থাকবে।