মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ। এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের ঘরে ঘরে খুশির বার্তা নিয়ে এসেছে ঈদ। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ দুই বছর একরকম ‘ঘরবন্দি’ অবস্থায় কেটেছে দেশবাসীর ঈদ। ঈদের নামাজ কিংবা ঘোরাঘুরি দূরে থাক, এক বাড়িতে থেকেও একসঙ্গে ঈদ উপযাপন করতে পারেননি অনেকেই। একটি ঘরেই কোয়ারেন্টিন ঈদ কাটিয়েছেন কেউ কেউ।
ফের ২ বছর পর মুসল্লিদের পদচারণায় মুখোরিত হয়েছে ঈদগাহ।
তবে এবার দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবারই কোনো রকম বিধিনিষেধ ছাড়াই ঈদ উপযাপন করছে দেশবাসী। বিপনিবিতান থেকে শুরু করে ঘরমুখো মানুষের চাপ মনে করিয়ে দিচ্ছিল করোনাকালের আগের সময়কে।
গত ২ বছর করোনার কারণে উন্মুক্ত স্থানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ মসজিদে পড়েছিলেন। ঈদের নামাজ আদায় করার পর প্রায় সবাই কোলাকুলি বা হাত মেলানো থেকেও বিরত ছিলেন। তবে এবার ফের ফের মুসল্লিদের পদচারণায় মুখোরিত হচ্ছে ঈদগাহ। করোনার বিধিনিষেধ পুরোপুরি না উঠলেও কোলাকুলিও করতে দেখা গেছে অনেককে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের প্রথম জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। সেখানে মসজিদ পরিপূর্ণ হয়ে মাঠে নামাজ আদায় করছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। পরে মুসল্লিরা কবর জিয়ারতে অংশগ্রহণ করেন।
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি আবদুর রউফ।