আগামী মাস (জানুয়ারি) থেকে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, লক্ষ্য পূরণ করতে বুস্টার ডোজসহ মোট ২৮ কোটি টিকার প্রয়োজন হবে। সরকার ৩১ কোটি টিকার ব্যবস্থা করেছে। কাজেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেও হাতে আরও ৩ কোটি থাকবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা স্কুল পর্যায়সহ বস্তিতে গিয়েও টিকা দিয়েছি। আগামী মাস থেকে প্রতি মাসে আমরা অন্তত ৪ কোটি টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করছি। এ জন্য আগামী মাস থেকেই আমরা দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি। আগামী মে-জুনের মধ্যেই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করছি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর প্রশংসা পেয়েছে। সাউথইস্ট এশিয়াতে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে, ব্লুমবার্গ প্রশংসা করেছে। ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে। হাসপাতাল বেড বাড়ানো হয়েছে। দেশে করোনার সময় কোথাও ওষুধ বা অক্সিজেন-সংকট দেখা দেয়নি। সঠিক চিকিৎসা গাইডলাইন ছিল বলেই করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি আরও যোগ করেন, সামনে ওমিক্রনের আবার চাপ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু টিকা ওমিক্রন ঠেকাবে না। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি যথার্থ নিয়মে মানতে হবে। তাহলেই ওমিক্রন ছড়াবে না। ওমিক্রন মোকাবিলায় সবাইকে মাস্ক পরারও আহ্বান জানান জাহিদ মালেক।