পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। বরাদ্দ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্টল আকর্ষণীয় ও নান্দনিক করে গড়ে তুলতে নানাভাবে সাজাচ্ছেন। এবারের মেলায় থাকছে দেশি-বিদেশি ২২৫টি স্টল।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, স্টল আকর্ষণীয় ও নান্দনিক করে গড়ে তুলতে ব্যস্ত শ্রমিকরা। বিশেষ করে বাইরের স্টলগুলো এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে। কেউ কাঠের মধ্যে রংতুলিতে এঁকে, আবার কেউ কাচের ঘরের অন্তরালে সাজাচ্ছেন নিজেদের স্টল।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের মেলার প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। তবে চেষ্টা করছি যতটা আকর্ষণীয়ভাবে স্টলটি সাজানো যায়। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে সব চেষ্টাই অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কর্মকর্তারা জানান, মেলা কেন্দ্রের লেআউটে কিছুটা কারেকশন করা হয়েছে। তাই ভেতরে-বাইরে মিলে আপাতত ২২৫টি স্টল করা হয়েছে। ধারণক্ষমতা বেশি থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভেতরে পর্যাপ্ত জায়গা ফাঁকা রেখে স্টল করা হয়েছে। ভেতরে চারশ’ করে মোট আটশ’ দোকান বানানো সম্ভব, কিন্তু মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কর্তৃপক্ষ ১৫৪টি স্টল বানিয়েছে। তাই এক স্টল থেকে আরেকটির দূরত্ব এবং মানুষের চলাচলের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে। প্রাণ, ওয়ালটনসহ স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলো মেলায় তাদের স্টল নিয়েছে। ভেতরে ২৪টি প্রিমিয়াম স্টল করা হয়েছে। তবে, কেন্দ্রের বাইরে অবকাঠামোগত ক্ষতি না করে প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে সাজাতে চায় সেভাবেই সাজাতে পারছে।
ইপিবির সচিব ও মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘নতুন বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণে সবমিলে ২২৫টি দেশি-বিদেশি স্টল থাকছে। ভেতরে ১৫৪টি। বাইরে ৭১টি স্টল। এসব স্টলের কাজ প্রায় শেষ দিকে।’