নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ হাজার হাজার বছর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিতে বসবাস করে আসছে।
এ ভুখন্ডে বিভিন্ন সময়ে নানান ধর্ম, ভাষা ও সাংস্কৃতির মানুষ এসেছে এবং সকলেই তাদের নিজ নিজ ধর্ম নিজস্বভাবে পালন করেছে। এসব কাজে একে অপরের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছে।
আমরা এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশে আমরা দেখেছি এক সময় ধর্মের নামে অত্যাচার ও নির্যাতন। যার ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুবিজুর রহমান এর নেতৃত্বে আমরা একটি অসম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়বার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ কমিটির আয়োজনে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মানবিক উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ মানে ধর্মহীনতা নয়, ধর্মনিরপেক্ষ মানে যার যার ধর্ম ও উৎসব সে স্বাধীনভাবে পালন করবে। এখানে কেউ কাউকে ধর্ম প্রচার, উৎসব কিংবা ধর্ম পালনে বাধাগ্রস্থ করবে না। এসব বিষয়গুলো আমাদের সবার সংবিধানেরও নিশ্চয়তা দেয়। আজকে যে সাম্প্রদায়িক হামলা হলো কয়েকটি জায়গায়, সে হামলার পিছনে কারা, সেগুলো দ্রুতই তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু আমরা প্রতিটি জায়গায় দেখছি ’৭১ এর পরাজিত অপশক্তি, ’৭৫ ও ২০০৪ এর হত্যাকারী, ২০১৩-২০১৪ সালে যারা মানুষ পুড়িযে হত্যা করেছে, এটি তাদেরই কাজ। তারা আমাদের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করবার অপচেষ্টার অংশ বিশেষ। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। অপশক্তি আজ সংঘবদ্ধ। আমাদেরকেও সংঘবদ্ধ হতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সমন্বয়ক আখলাকুর রহমান মাইনুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, আমেনা নুর ফাউন্ডেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আহম্মদ আল জামান।
বক্তব্য শেষে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদষ্য ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দের হাতে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর উপহার তুলেদেন।
এরপরে একই স্থানে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আন্ত:ধর্মীয় সংলাপে অংশগ্রহন করেন শিক্ষামন্ত্রী, ধর্মপ্রতিমন্ত্রীসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।