দেনার দায়ে যুবলীগ কর্মির আত্মহত্যা

  • আপডেট: ০৯:৫০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯
  • ৭৫

নিজস্ব প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে দেনার দায়ে আত্মহত্যা করেছে যুবলীগের এক কর্মি। ঘটনাটি গত ৩০ জুন রোববার গভীর রাতে উপজেলার টামটা দক্ষিন ইউনিয়নের উয়ারুক পূর্ব পাড়া শীতল গাজী মিয়াজী বাড়িতে ঘটে।
নিহতের পারিবারিক জানা যায়, ওই বাড়ির সফিউল্লার (৬২) পুত্র টামটা দক্ষিন ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মি রবিউল হাসান (২৮) নানান ব্যবসা করতো। ওই সকল ব্যবসায় বার বার লোকসান গুনতে গিয়ে বিভিন্ন এনজিও ও ব্যক্তি বিশেষের কাছে মোটা অংকের দেনা হতে হয় তাকে। দেনার ভার গ্রহন করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে রবিউল।
রবিউল হাসানের বড় ভাই বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী বিউটি (৩০) আক্তার বলেন, ভোরে ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যাওয়ার পথে আম গাছে রবিকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পাই। আমার চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন দৌঁড়ে আসে। তার স্ত্রী বকুল বেগম ওই দিন বাড়ি ছিলো না। বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা তুলে ব্যবসা করতে গিয়ে সে দেনা হয়েছে। দেনার টাকা পরিশোধ করতে সে হিমশিম খেতো। মন-মানসিক অবস্থা ভালো থাকতো না তার। মাঝে মাঝে প্রচন্ড বুক ব্যথা করতো রবির।
রবিউল হাসানের চাচি রহিমা খাতুন (৫৮) বলেন, রবির মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই সে আমার কাছে থাকতো। আমি তাকে লালন পালন করে বড় করেছি। রবির মৃত্যু ঘটেনি আমিই যেন আজ মরে গেছি- বলতে বলতে তিনি কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বাড়ির লোকজন বলেন, রবি তার স্ত্রী বকুল (২২) ও একমাত্র ছেলে রোহান (৪) কে নিয়ে সুখেই ছিলো। ধার-দেনার কারনে তার মনে সব সময় অশান্তিতে ছিলো। তবুও সংসার জীবনে দু’কথা হয়নি তাদের মাঝে। অবিশ্বাস্য মৃত্যুর এই ঘটনাটি আমাদের বিচলিত করেছে।
শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম বলেন, এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্ররণ করা হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যেভাবে হ ত্যা করা হয় তরুণ আইনজীবী সাইফলকে

দেনার দায়ে যুবলীগ কর্মির আত্মহত্যা

আপডেট: ০৯:৫০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে দেনার দায়ে আত্মহত্যা করেছে যুবলীগের এক কর্মি। ঘটনাটি গত ৩০ জুন রোববার গভীর রাতে উপজেলার টামটা দক্ষিন ইউনিয়নের উয়ারুক পূর্ব পাড়া শীতল গাজী মিয়াজী বাড়িতে ঘটে।
নিহতের পারিবারিক জানা যায়, ওই বাড়ির সফিউল্লার (৬২) পুত্র টামটা দক্ষিন ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মি রবিউল হাসান (২৮) নানান ব্যবসা করতো। ওই সকল ব্যবসায় বার বার লোকসান গুনতে গিয়ে বিভিন্ন এনজিও ও ব্যক্তি বিশেষের কাছে মোটা অংকের দেনা হতে হয় তাকে। দেনার ভার গ্রহন করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে রবিউল।
রবিউল হাসানের বড় ভাই বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী বিউটি (৩০) আক্তার বলেন, ভোরে ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যাওয়ার পথে আম গাছে রবিকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পাই। আমার চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন দৌঁড়ে আসে। তার স্ত্রী বকুল বেগম ওই দিন বাড়ি ছিলো না। বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা তুলে ব্যবসা করতে গিয়ে সে দেনা হয়েছে। দেনার টাকা পরিশোধ করতে সে হিমশিম খেতো। মন-মানসিক অবস্থা ভালো থাকতো না তার। মাঝে মাঝে প্রচন্ড বুক ব্যথা করতো রবির।
রবিউল হাসানের চাচি রহিমা খাতুন (৫৮) বলেন, রবির মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই সে আমার কাছে থাকতো। আমি তাকে লালন পালন করে বড় করেছি। রবির মৃত্যু ঘটেনি আমিই যেন আজ মরে গেছি- বলতে বলতে তিনি কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বাড়ির লোকজন বলেন, রবি তার স্ত্রী বকুল (২২) ও একমাত্র ছেলে রোহান (৪) কে নিয়ে সুখেই ছিলো। ধার-দেনার কারনে তার মনে সব সময় অশান্তিতে ছিলো। তবুও সংসার জীবনে দু’কথা হয়নি তাদের মাঝে। অবিশ্বাস্য মৃত্যুর এই ঘটনাটি আমাদের বিচলিত করেছে।
শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম বলেন, এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্ররণ করা হয়েছে।